The National Council of Educational Research and Training (NCERT) and UNESCO New Delhi Office developed this booklet to raise awareness of students and teachers on staying safe online

লকডাউনে ওয়ার্ক ফ্রম হোম এবং সাথে শিক্ষার ক্ষেত্রেও শরণাপন্ন হতে হয়েছে ইন্টারনেটের কাছে। ফলে বর্তমান লকডাউন সময়ে যেমন স্তব্ধ হয়ে যাওয়া কাজকর্মে গতি এসেছে তেমনি সাইবার আক্রমণের ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে। এই সাইবার  আক্রমণের একটি বড় কারন অনলাইন-ইন্টারনেট প্রভৃতি বিষয়ে অজ্ঞতা। 

আর তাই কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক অনলাইনে নিরাপদে থাকার বিষয়ে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে  ‘কোভিড-১৯-এর সময় নিরাপদ অনলাইন শিক্ষা’ বিষয়ে তথ্য সম্বলিত একটি বই প্রকাশ করেন।   

জাতীয় শিক্ষামূলক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ পর্ষদ এবং নতুন দিল্লির ইউনেস্কোর কার্যালয় এই বইটি তৈরি করেছে। শিশু,কিশোরদের অনলাইনে সুরক্ষিত থাকার ক্ষেত্রে এই বইটি বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে পর্ষদ মনে করেন। অভিভাবক এবং শিক্ষকরা, তাঁদের সন্তান ও ছাত্র ছাত্রীদের নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার শেখাতে সহায়তা করবে এই পুস্তিকাটি।

পুস্তিকাটি উদ্বোধনের পর শ্রী পোখরিয়াল বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অনলাইন এবং দূর-শিক্ষার গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শিশু এবং শিক্ষকরা একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারছেন এবং শিক্ষার আদান-প্রদান চলছে।ছেলেমেয়্দের এবং শিক্ষকদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত অনলাইন পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরও জানান- "নিরাপদে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে দিতে চায় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার এবং জাতীয় শিক্ষামূলক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ পর্ষদ (এনসিইআরটি) সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে বাঁচতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। সাইবার অপরাধের শিকার সকলকেই অভিযোগ দায়ের করার জন্য বলা হয়েছে। সরকার তাঁদের সকলকেই সহায়তা দেবে।"  

এনসিইআরটি এবং ইউনেস্কো-র যৌথভাবে তৈরি এই পুস্তিকাটি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি, সাইবার হুমকির হাত থেকে রক্ষা করতে সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণে সুনিশ্চিত করবে বলেও তিনি জানান।

বইটি ডাওনলোড করুন-