নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- গ্র্যাজুয়েট টিচারদের টিজিটি মর্যাদার সপক্ষে আন্দোলনের পাশাপাশি এবার সরাসরি সুন্দরবন এলাকায় আম্ফন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ালো বিজিটিএ।আজ সুন্দরবন এলাকার করোনা ও আম্ফন দুর্গতদের হাতে অত্যাবশকীয় ত্রান সামগ্রী তুলে দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ালো রাণাঘাট ও বি আর বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশন সংক্ষেপে বিজিটিএ নামক শিক্ষক সংগঠন।
বিজিটিএ সূত্রে জানা গেছে দঃ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির তত্বাবধানে বিজিটিএ'র একটি প্রতিনিধি দল ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন সুন্দরবন এলাকার কাকদ্বীপ থানার অন্তর্গত বাপুজি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিন পূর্ব থানগড়া পালেরচক, দক্ষিণ থানগড়া,গুড়িয়াচক,রামকৃষ্ণচক প্রভৃতি গ্রামের করোনা ও আম্ফন পীড়িত দুঃস্থ পরিবারগুলির মধ্যে।
প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন বিজিটিএ'র যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ ও দঃ ২৪ পরগনা জেলা কমিটি অন্যতম কর্মকর্তা শিক্ষক শ্রী স্বপন কুমার মন্ডল। সঙ্গে ছিলেন দঃ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদিকা শ্রীমতী দীপান্বিতা সামন্ত, সভাপতি অসিত রঞ্জন মৃধা মনোনীত শ্রী ও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শ্রী পঞ্চানন মন্ডল।
ত্রান বিতরণের কাজ শুরু হয় দুপুর ২টো'য়। প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের হাতে এদিন ত্রান সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। ত্রান সামগ্রীর মধ্যে ছিল ২ কি.গ্রা. আলু, ১/২ লি. সরষে তেল, ১ কি.গ্রা মুসুর ডাল, ৩০০ গ্রা.বিস্কুট একটি করে থ্রি লেয়ার মাস্ক, সয়া বড়ির প্যাকেট ও স্যানিটারি প্যাড।
ত্রান বিতরনের শেষে স্বপন বাবু আমাদের প্রতিনিধি কে বলেন, "যখন করোনা সারা বিশ্বকে তছনছ করে দিয়েছে ঠিক তখন বিধ্বংসী আম্ফন সুন্দরবন এলাকার মানুষের সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে। অনেকেই অনাহারে ও অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। যেহেতু বিজিটিএ এই মুহুর্তে পশ্চিম বঙ্গের সর্ব বৃহৎ শিক্ষক সংগঠন সেহুতু আমরা মানবিক কারনে এই কর্মসূচী নিয়েছি। এর আগে করোনার কারনে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে বিজিটিএ'র পক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে ও জেলায় জেলায় সরাসরি ত্রান কার্য চালানো হচ্ছে। বিজিটিএ শিক্ষা-শিক্ষক(গ্রাজুয়েট) সম্পর্কিত বঞ্চনার বিরুদ্ধে যেমন লড়াই করছে তেমনি দুঃসময়ে রাজ্যের দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে ও ভূলবে না। আবার রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতি হলে সরকারের কাছ থেকে টিজিটি আদায় করতেও ছাড়বে না।"
বিজিটিএ সাধারণ সম্পাদক শ্রী সৌরেন ভট্টাচার্য টেলিফোনে আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, " বিজিটিএ গ্র্যাজুয়েট টিচারদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনি ও গনতান্ত্রিক ভাবে লড়াই করলেও তাদের মানবিক দায় দায়িত্ব ও সামাজিক কর্তব্যের কথা ভোলেনি। তাই সরকারের পাশাপাশি তারাও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ত্রান কার্য চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার কে ভাবতে হবে প্রায় এক লক্ষ দশ হাজার গ্র্যাজুয়েট টিচার হাইকোর্টের রায় হাতে নিয়ে ও বঞ্চিত হয়েই যাচ্ছেন।"
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊