করোনা ভাইরাস নিয়ে যখন পৃথিবী তোল পার তখননি সুখবর শোনাল নাসা।
মহাকাশে ইতিহাস! দুই নভশ্চরকে নিয়ে উড়ে গেল নাসা-স্পেস এক্সের রকেট, গতি বাড়িয়ে এগোচ্ছে পৃথিবীর কক্ষপথের দিকে।
২০১১ সালের পর ৯ বছরের ব্যবধানে ফের মহাকাশে মানুষ প্রেরণ নিয়ে কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাই স্পেস এক্সের এই প্রজেক্টটিকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছে তারা। মার্কিন বেসরকারি সংস্থাই গোটা মিশনের উদ্যোগ ও পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নাসাও।
নাসা প্রধান জিম ব্রিডেনস্টাইন জানিয়েছে, প্রথমবার কোনও বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা মহাকাশ মিশনের এত বড় উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের জন্য এটা গর্বের মুহূর্ত। ঠিক সময় স্পেসক্রাফ্ট যাত্রা শুরু করলে বেনকেন ও হার্লের আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছতে সময় লাগবে ১৯ ঘণ্টার মতো। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে ২১০ দিন তাঁরা কাটাতে পারবেন স্পেস স্টেশনে। তবে এখনই এই সময়টা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। নভশ্চররা স্পেস স্টেশনে পা রাখার পরেই পরবর্তী পরিকল্পনা ঠিক হবে।
প্রথমবার ২০০৮ সালে পৃথিবীর কক্ষে ফ্যালকন এক্স ১ পাঠিয়েছিল স্পেস এক্স ।২০১০ সালে। পরীক্ষামূলকভাবে ড্রাগন স্পেস ক্রাফ্ট পাঠানো হয়েছিল। ২০১১ সালে প্রথমবার আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নামে স্পেস এক্সের ড্রাগন স্পেসক্রাফ্ট। তারপর ৯ বছরের দীর্ঘ ব্যবধানে এবছর নাসার সহযোগীতায় আইএসএস-এ নভশ্চর পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে স্পেস এক্স।
This is the first time in human history @NASA_Astronauts have entered the @Space_Station from a commercially-made spacecraft. @AstroBehnken and @Astro_Doug have finally arrived to the orbiting laboratory in @SpaceX's Dragon Endeavour spacecraft. pic.twitter.com/3t9Ogtpik4— NASA (@NASA) May 31, 2020
৪৮ বছরের অ্যাস্ট্রো-বেনকেন ও ৫৩ বছরের অ্যাস্ট্রো-হার্লে দু’জনেই দক্ষ মার্কিন নভশ্চর। হার্লে মার্কিন নৌসেনার ফাইটার জেটের পাইলট। বেনকেন ফ্লাইট টেস্ট ইঞ্জিনিয়ার। পূর্বে যুক্ত ছিলেন মার্কিন বায়ুসেনায়। পরবর্তীতে নাসায় যোগ দেন। এর আগেও ২৯ দিন মহাশূন্যে কাটানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে বেনকেনের।
অনুকুল আবহাওয়ায় পৃথিবীর মাটি ছেড়ে ঊর্ধ্বমূখী হল স্পেস এক্সের ফ্যলকন ৯ রকেট। ভারতীয় সময় তখন ১ টা বেজে ৭।ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলের ভেতর দুই নভশ্চর রবার্ট বেনকেন ও ডগলাস হার্লেকে নিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হয়। ঘন্টাপ্রতি ১৭ হাজার কিমি বেগে ক্যাপসুল পাড়ি দেবে স্পেস স্টেশনের দিকে, পৌঁছোতে সময় লাগতে পারে ১৯ ঘন্টা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊