একদিকে করোনা আর অন্যদিকে লক ডাউনের জেরে খুব কষ্টেই দিন কাটছে সাধারন মানুষের। এদিকে ২৬জুন থেকে লাগাতার ২০ দিন ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। ফলে, মাথায় হাত মধ্যবিত্ত মানুষদের। IOC-র ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার দিল্লিতে ১ লিটার পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে ৮০.১৩ টাকা ৷ ডিজেলের দাম ৮০.১৯ টাকা ৷কলকাতায় পেট্রোলের দাম বেড়ে হলো ৮১ টাকা ৮২ পয়সা। লিটার প্রতি ডিজেলের দাম ৭৫ টাকা ৩৪ পয়সা।

একটানা এভাবে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে প্রথমে সুর চড়ানো শুরু করেন বিরোধীরা এবার বাধ্য হয়ে পথে নামলেন তাঁরা। পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা, হুগলি, বীরভূমে প্রতিবাদ মিছিল বার করে বিরোধীরা। লাগাতার পেট্রোল ডিজেলের দামবৃদ্ধির বিরুদ্ধে ঢাকুরিয়ার ইন্ডিয়া অয়েল অফিসের সামনেও বিক্ষোভ দেখায় সিআইটিইউ। এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাম পরিষদীয় দলনেতা ড. সুজন চক্রবর্তীসহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব। 

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানান পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে এবং সেটা আকাশছোঁয়া। এর ফলে মানুষ বিপদে পড়ছে। যাতায়ত খরচ বেড়েছে মানুষের। 

এদিন, এই বিক্ষোভে তাঁদের দাবি শীঘ্রই পেট্রোল ও ডিজেলের অতিরিক্ত মূল্য প্রত্যাহার করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ছে আর ভারতে তেলের দাম বাড়ছে কেন এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বিরোধীরা। 

পাশাপাশি, বক্তব্য রাখতে গিয়ে, আম্ফান, করোনা পরিস্থিতি ও পেট্রোল- ডিজেল মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সরব হন ড. সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, রাজ্য টাকা লুঠ করছে কেন্দ্র টাকা লুঠ করছে।