ভারত-চীন সীমান্তে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনা সেনার মুখোমখি সংঘর্ষে ২০ জওয়ানের মৃত্যু হয়। হামলা চালানো হয় পেরেক ও কাঁটাতার লাগানো কাঠের তক্তা, রড, পাথর ।  গত ৪৫ বছরে এটিই সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ছিল। আর এরপরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রুলস অফ এনগেজমেন্ট বা সংঘর্ষের বিধিনিষেধ থেকে সরে এল ভারত।

সেনার এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ট্যাক্টিক্যাল পর্যায়ে পরিস্থিতি সামলানোর পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে স্থানীয় কমান্ডারদের। ফলে, অভূতপূর্ব পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে, কমান্ডাররা নিজেদের ক্ষমতায় সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পাবে আগ্নেয়াস্ত্র। এখন চিন কোনও প্রকার অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করলে, গোলাগুলি দিয়েই তার জবাব দেওয়া হবে।

১৯৯৬ সালে ভারত-চিন চুক্তি অনুযায়ী, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ২ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও প্রকার আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বা গোলাগুলি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল দুদেশের ওপরই। এর ফলে, ভারতের সেনার হাত-পা বাঁধা ছিল। পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌঁছলেও, ভারতীয় সেনা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারত না। সেই চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিল ভারত। এখন সেনাকে প্রয়োজন পড়লে আগ্নোস্ত্রের ব্যবহার করার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।

সন্ধি চুক্তির এই সংশোধন গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।