চিনকে যোগ্য জবাব দেওয়ার প্রশ্নে মোদী সরকারকে পূর্ণ সমর্থন জোগানোর বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

১৫ই জুন গভীর রাতে ভারত-চীন সীমান্তের পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে ভারত ও চীনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২০জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ হন। অন্তত ৭৬ জন সেনা আহত অবস্থঅয় হাসপাতালে ভর্তি বলেও জানা গিয়েছে। এরপরেই শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিনের বৈঠকে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব বাদে সব দলের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিল। উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। 

২০টি দলকে নিয়ে শুক্রবার বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিনের বৈঠকে মমতা বলেছেন, “চিনের এই আগ্রাসনকে তাদের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই দেখতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ অনেকগুলি প্রতিবেশি দেশ দিয়ে পরিবেষ্টিত। বিশেষ করে নেপাল ও ভুটান। যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “ডোকলাম আমাদের খুব কাছে। আমাদের চিকেন নেকও স্পর্শকাতর এলাকা। আমাদের গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে।” 

তিনি আরও বলেন, “চিনে গণতন্ত্র নেই, সেখানে একনায়কতন্ত্র চলে। তারা যা খুশি করতে পারে। কিন্তু আমাদেরকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ভারত জিতবে, চিন হারবে। ঐক্যের কথা বলতে হবে. ঐক্যের কথা ভাবতে হবে, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে সরকারের পাশে রয়েছি।”

তাঁর কথায়, “এক হয়ে কথা বলুন, এক হয়ে ভাবুন, এক হয়ে কাজ করুন। আমরা দৃঢ় ভাবে সরকারের পাশে রয়েছি।” 

তিনি আরও বলেন, “কূটনৈতিক, রাজনৈতিক বা সেনাবাহিনীর স্তরে আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে হবে। যাতে শান্তি ফিরে আসে এবং দু’দেশই সন্তুষ্ট থাকে।”

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণে অবশ্য পুরোপুরিই ঐক্যের আহ্বান শোনা গিয়েছে এ দিন। তাঁর বক্তব্য, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কেন্দ্রই স্থির করবে। কিন্তু সব পদক্ষেপ বিরোধীদের জানিয়ে করতে হবে। কারণ ঐক্যবদ্ধ থাকলেই ভারত জিতবে।

‘টেলিকম, রেল, বিমান পরিষেবায় চিনকে ঢুকতে দেবেন না। সমস্যায় পড়তে হলেও, চিনকে ঢুকতে দেওয়া উচিত নয়।‘ সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকে বললেন মমতা|