মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন দাবী নিয়ে বিক্ষোভ কর্মরত অস্থায়ী কর্মীদের

রাজেন্দ্র নাথ দত্ত, মুর্শিদাবাদ : মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পরে সেখানকার কর্মরত অস্থায়ী কর্মীরা। করোনার রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে পি পি ই কিট ও সুরক্ষিত পোষাক না পাওয়ায় বিক্ষোভ দেখায় হাসপাতালে কর্মরত প্রায় ৩০০ জন হাসপাতাল কর্মী। হাসপাতালের কর্মীদের অভিযোগ গতকাল করোনায় আক্রান্ত হয়ে ডোমকলের এক যুবকের মৃত্যু হয় এই হাসপাতালে।

করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন যে সকল হাসপাতালে এই কর্মীরা দেখাশোনা করেছেন তাদের কোন পিপিই কিট দেওয়া হয়নি এবং ওই সমস্ত কর্মীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার কোন ব্যাবস্থাও করা হয়নি এখন পর্যন্ত। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দিনরাত পরিষেবা দেন তারা, কিন্তু তাদের দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র একটি করে ডিসপোশাল মাস্ক বলে তারা জানায়। তারা নিয়মিত একটি  মাস্ককেই পরিষ্কার করেন এবং তা আবার ব্যাবহার করেন। পাশাপাশি আরো দাবি দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তারা। 

এই সমস্ত সমস্যার কারণে তারা এদিন বাধ্য হয়ে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করে বলে তারা জানায়। তাদের আরও অভিযোগ অস্থায়ী কর্মী বলে অফিসে তাদের কোনো রকম সুযোগ সুবিধা দেয় না, করোনা পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে চারজন এসেছিল, তাদের সারারাত রাস্তায় বসে  কাটাতে হয়েছে এবং তাদের ভালো মাস্ক ও পি পি ই কিট দেওয়া হয়নি। তাদের দাবি 'যদি কিছু হয়ে যায় কে দায়িত্ব নেবে সামান্য টাকা বেতনে তারা কাজ করছেন। ডাক্তার ও নার্সরা এসি রুমে বসে থাকেন, অথচ যারা রাতদিন কাজ করে চলেছে তাদের দিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।' 

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের সুপারিনটেনডেন্ট শর্মিলা মল্লিক জানান 'মোট 21 জনের নাম জমা পড়েছিল তার মধ্যে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে যারা সরাসরি রোগীর সংস্পর্শে ছিল এবং অস্থায়ী কর্মীদের মধ্যে দুজনের নাম জমা পড়েছে। যারা সরাসরি রোগীর সংস্পর্শে ছিল তাদের এখানে থাকার ব্যবস্থা করা হবে এবং আরও যারা আছে পাঁচ দিনের জন্য তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হবে ও পুনরায় তাদের কাজে যোগদান করতে বলা হবে।' হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করা হলে কতৃপক্ষ তাদেরকে কাজ থেকে বহিষ্কার করার হুমকি দেয় বলে সংবাদ সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়।