দেশেই তৈরি এই অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ এবার থেকে দেশের সমস্ত ওষুধের দোকানে পাওয়া যাবে বলেই খবর। 

করোনা সংক্রমণের ভয়াল কোপে বিশ্ব এখন নিরাময়ের ড্রাগ, ভ্যাকসিন প্রস্তুতেই লেগে আছে। দিনের পর দিন বাড়ছে সংক্রমণ সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহার জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে রাশিয়ার একটি অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ করোনা চিকিৎসায় ব্যবহারের অনুমতি মিলেছে। যা হল রেমডেসিভির। জানা গেছে, চলতি মাসের শেষেই ভারতীয় বাজারে পাওয়া যাবে এই অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির। এক ইংরাজি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অনুমোদনেই বাজারিকৃত হচ্ছে গিলিয়ড সায়েন্সসের তৈরি এই প্রতিষেধক।

দ্য ড্রাগ কন্ট্রলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া সম্প্রতি সঙ্কটজনক অবস্থায় থাকা করোনা রোগীর ওপর রেমডেসিভির প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছিল।

রেমডেসিভির গিলিয়ড সায়েন্সসের গবেষণামূলক এক প্রতিষেধক। যা অক্সিজেন সাপোর্টে থাকা করোনা রোগীদের ওপর প্রয়োগ করা হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল, রেমডেসিভির ‘পরীক্ষমূলক থেরাপি’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর সেকারণেই এর ব্যবহার ছিল সীমিত। একমাত্র আপতকালীন সময়েই এই ওষুধ ব্যবহারের কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। 

এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা রোগীদের ওপর নিয়মিত ভাবে রেমডেসিভির প্রয়োগ করা হয়েছে। যদিও করোনার প্রতিষেধক হিসেবে সিলমোহর দেওয়া হয়নি। আরও ক্লিনিকাল পরীক্ষানিরীক্ষার প্রয়োজন আছে বলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। 

সংবাদসংস্থা প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ভারতে রেমডেসিভির তৈরির স্বত্ত্বাধিকারী গিলিয়ড সায়েন্সেস ইন্ডিয়ান ড্রাগ রেগুলেটরি এজেন্সির কাছ থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। 

রোগীদের নিরপত্তার কথা মাথায় রেখেই চলতি মাসের পয়লা তারিখেই অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই ৬টি সংস্থা এই ওষুধ তৈরি ও বিক্রি করার জন্য আবেদন করেছে বলে জানা গেছে। যার মধ্যে পাঁচটি সংস্থা গিলিয়ড সায়েন্সেসের সঙ্গে চুক্তি করেছে বলেও খবর।

দেশেই তৈরি এই অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ এবার থেকে দেশের সমস্ত ওষুধের দোকানে পাওয়া যাবে বলেই খবর। তবে রেমডিসিভির ব্যবহারে কিছু বিধি নিষেধ জারি রয়েছে।