গৌতম সাহা,বীরভূমঃ
বিশ্ব জুড়ে করোনা মহামারীতে সর্বত্র দিশাহারা অবস্থা।ভাইরাস সংক্রমনের দাপটে প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রামিতের সংখ্যা,বাড়ছে মৃত্যুহার।প্রায় তিন মাস হতে চলল প্রাণ বাঁচাতে মানুষ আজও গৃহবন্দী।মানুষের স্বাভাবিক জীবন আজও স্তব্ধ।এদিকে গভীর সঙ্কটে পড়েছেন চিকিৎসা করাতে যাওয়া রুগীরা। বিশেষ করে রক্তের প্রয়োজনে মুমূর্ষ রোগীদের অবস্থা আরো খারাপ কারণ জেলায় জেলায় ব্লাড ব্যাঙকে এই মুহুর্তে রক্ত সংকট চলছে।কারণ একে করোনা মহামারী তারপর মার্চ,এপ্রিল,মে, এই তিন মাস ধরেই জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত পেতে প্রভূত সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় রোগীর পরিজনদের।তবে ইদানিং লক্ষনীয় এ্যমার্জেন্সি ভিত্তিতে রক্ত পেতে রক্তদাতার খোঁজ চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।তবে সেটা পেতেও কালঘাম ছোটে রোগীর পরিজনদের।এই সঙ্কট দূর করার জন্য এই করোনা আবহাওয়াতেও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছে বিভিন্ন সংস্থা।
এরকম সঙ্কটে এগিয়ে এলেন বীরভূম জেলা UUPTWA কমিটি।অাজ বীরভূম জেলার রামপুরহাটে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন UUPTWA জেলা কমিটির পরিচালনায় ও ব্যাবস্থাপনায় রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হল।প্রায় ৪০ জন রক্তদাতা রক্ত দান করেন এই শিবিরে।রক্তদাতারা স্বেচ্ছায় ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই রক্তদান করেন।
সাধারণত একজন রক্তদাতার প্রতি চারমাস অন্তর অর্থাৎ ১২০ দিন পর পর মানবদেহে নতুন রক্ত তৈরি হয়।তাই বছরে দু-তিনবার রক্ত দান একটি বড় সামাজিক কাজের মধ্যে পড়ে কারণ রক্ত এমন একটি মহামূল্যবান জিনিস যা অন্য কোন ভাবেই তৈরী করা যায় না।তাই রক্ত দানই একজন রক্তের সংকটে ভুগতে থাকা মানুষকে নতুন জীবন দিতে পারে।তাছাড়া রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
তাই এই সঙ্কটাবস্থায় UUPTWA,বীরভূম জেলা কমিটিকে রক্তদান শিবির আয়োজন করার জন্য প্রশাসন ও হাসপাতাল কতৃপক্ষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।একটি বৃহত্তর সামাজিক দায়িত্ত্ব পালন করতে তারা আজ প্রতিজ্ঞবব্ধ, মানুষের সেবায় তারা যেন উৎসর্গীকৃত প্রাণ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊