Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

২০২০ সালের আর এক বিপর্যয়! এবার সূর্য যাবে অস্তাচলে!


সূর্যের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে অর্থাৎ শুরু হয়ে গিয়েছে 'সৌর সর্বনিম্ন' যার ফলাফল মারাত্মক হতে পারে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে এই 'সৌর সর্বনিম্ন' চলবে আগামী ৩০ বছর ধরে। সূর্যের গর তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় পৃথিবীর ওপর এর ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়বে। সূর্যের সাথে সাথে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রাও লক্ষণীয় ভাবে কমে আসবে যার প্রভাব পড়বে বায়ুমন্ডলের ওপর। বজ্রপাত, ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যাবে। এই সময় সূর্যের চৌম্বকক্ষেত্র দুর্বল হয়ে পড়ায় বিভিন্ন মহাজাগতিক রশ্মির আবির্ভাব ঘটে। এইসব মহাজাগতিক রশ্মি মেরু অঞ্চল দিয়ে পৃথিবীতে প্রবেশ করে জন্য মেরু অঞ্চল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। 'সৌর সর্বনিম্ন' এর ফলে ঋতু পরিবর্তনের ওপর প্রভাব পড়বে যার ফলে খাদ্যশস্য ফলনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। তাই খাদ্যসঙ্কটও হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

কতদিন পরপর হয় এই 'সৌর সর্বনিম্ন'?

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে প্রতি ১১ বছর অন্তর আসে মিনি 'সৌর সর্বনিম্ন' যাতে সূর্যের তাপমাত্রা খুব কম পরিমাণে কমে যায় যার প্রভাব পৃথিবীর ওপর সেরকম পরে না। এরপর আসে আরো বড় 'সৌর সর্বনিম্ন' যা ঘটে প্ৰতি ২০০ বছর অন্তর এবং দীর্ঘদিন ব্যাপী স্থায়ী হয়। এর প্রভাব ভালোমতোই পড়ে পৃথিবীর ওপর। সবচেয়ে বড়ো যে 'সৌর সর্বনিম্ন' সেটা ঘটে রটি ৪০০ বছর অন্তর অন্তর, যার ফল হয় অতি মারাত্মক।

পুরোনো ইতিহাস: ১৭৯০-১৮৩০ সালে হয়ে যাওয়া 'সৌর সর্বনিম্ন' এর সময় পৃথিবীতে লক্ষণীয় পরিবর্তন পড়েছিল। আগ্নেয়গিরি থেকে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল। সেই সময় পৃথিবীর কোথাও গ্রীষ্মকালের প্রভাব সেরকম ভাবে অনুভূত হয়নি। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রখর গ্রীষ্মে তুষারপাত হয়েছিল।

তবে আশার কথা শুনিয়েছে নাসাও। জানিয়েছে- "সূর্য নিয়মিত উচ্চ এবং নিম্ন ক্রিয়াকলাপের মধ্য দিয়ে যায়। এই চক্রটি স্থানের আবহাওয়ার ঘটনাগুলির ফ্রিকোয়েন্সিকে প্রভাবিত করে, তবে এটি পৃথিবীর জলবায়ুর উপর বড় প্রভাব ফেলবে না - এমনকি বৈশ্বিক তাপমাত্রায়ও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না।" 

Ad Code