Privacy of COVID-19 suspects violated; names, addresses made public
করোনা আতঙ্কে জর্জরিত দেশ। পিছিয়ে নেই বাংলাও। যদিও, কোচবিহার জেলা প্রথম থেকেই সবুজ জোনে রয়েছে। এর মধ্যেই ঘরে ফেরা শুরু করেছে অভিবাসী শ্রমিকেরা। প্রতিনিয়ত, বাসে কিংবা ট্রাকে কিংবা ট্রেনে করেই ঘরে ফিরছে মানুষ। ফলে, সকলের মনে এমনিতেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। পরিযায়ী শ্রমিকদের বহু মানুষকে সরকারী কোয়ারাইন্টিনে না রেখে হোম কোয়ারাইন্টিনে থাকতে বলে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে অনেকক্ষেত্রে। কিন্তু হোম কোয়ারিন্টিনে না থেকে সেই নিয়ম তোয়াক্কা না করে পথে -ঘাটে, বাজারে অবাধ বিচরণ করছে তারা। এনিয়ে রয়েছে বহুজনের অভিযোগ। এর মাঝেই গতকাল প্রকাশ্যে এসেছে কোচবিহার জেলার করোনা আক্রান্তের একটি লিস্ট।
যে লিস্টে করোনা আক্রান্তদের রোগীদের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর সবিস্তরে লেখা রয়েছে। যদিও, স্বাস্থ্য দপ্তর বা কোনও সরকারী শিলমোহর নেই। কিন্তু, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে এই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেই লিস্ট। আর তা থেকেই মানুষের মনে আতঙ্কের ছাপ। এ খবর এখন সবার মুখে মুখে। তড়িঘড়ি বন্ধ হয়ে যায় বহু বাজারও।
কিন্তু করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের নাম প্রকাশ্যে আনা যাবে না। একইসঙ্গে যাঁরা কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন, তাঁদেরও পরিচয় প্রকাশ্যে আনা যাবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই এব্যাপারে একটি অ্যাডভাইজরি প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
গতকালকের ৩২ জনের নামের লিস্ট সম্বলিত ছবি যা ভাইরাল হয়ে যায় তা প্রকাশ্যে এলো কি করে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। রোগীদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ হলও কি করে? এটা কি প্রশাসনের চূড়ান্ত ব্যর্থতা নয়?
যদিও গতকাল প্রকাশিত স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলিটিনে কোচবিহারে কোন করোনা আক্রান্তের কথা জানানো হয়নি। যদি এই লিস্ট সত্য হয় তবু যেমন করোনা আক্রান্তের গোপনীয়তা ভঙ্গ হয়েছে তেমনি যদি মিথ্যা হয় তবে প্রশাসন এখনো চুপ কেন? কেন এখনো প্রকাশ্যে কোন বিবৃতি দিচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
Social Plugin