“One nation , one digital platform” and “one class one channel” will ensure reach of quality education to farthest corners of the country: HRD Minister
করোনা মহামারীতে স্তব্ধ সমগ্র বিশ্ব। পাল্টে দিয়েছে সমস্ত পরিস্থিতিকে। এই মুহুর্তে গৃহবন্দী প্রায় সমগ্র ভারত। স্বাস্থ্য থেকে অর্থনীতি, সমাজ থেকে শিক্ষা- সব কিছু নিয়েই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। 

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থ এবং কর্পোরেট মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারামন  নতুন দিল্লিতে শিক্ষাক্ষেত্রকে চাঙ্গা করতে একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষনা করেছেন। মানব মূলধনে বিনিয়োগ করা হলে সেই বিনিয়োগ জাতির উৎপাদনশীলতা এবং বিকাশ সাধন এবং সমৃদ্ধি ঘটাবে বলে শ্রীমতী সীতারামন জানিয়েছেন। বর্তমান অতিমারী পরিস্থিতি শিক্ষা ব্যবস্থার সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ উপস্থিত করেছে পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন সম্ভাবনাও তুলে ধরেছে বলে তিনি মনে করেন।


মন্ত্রী জানান শিক্ষা ব্যবস্থাকে এই সুযোগের সদ্বব্যবহার করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থার ফাঁক পূরণে প্রয়োজনে পাঠ্যসূচির এবং শিক্ষা বিজ্ঞানের পরিবর্তন করতে হবে। প্রতিটি স্তরে সমন্বিত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন সমাজের প্রতিটি স্তরের, প্রতিটি অঞ্চলের পড়ুয়াদের শিক্ষার আঙিনায় নিয়ে আসতে সরকার বদ্ধ পরিকর।


কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমনকে শিক্ষাক্ষেত্রকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।তিনি আশা প্রকাশ করেন যে শিক্ষা ক্ষেত্রে পুনর্গঠন দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করবে।


কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, "এক দেশ, এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম" এবং "একটি শ্রেনী একটি চ্যানেল" দেশের প্রতিটি প্রান্তে গুণমানসম্পন্ন শিক্ষা পৌছেঁ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।তিনি আরও বলেন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদেরও এতে সুবিধা হবে।

যে সব বিষয় গুলির ওপর জোর দিয়েছেন সেগুলি হল:

(১) পি এম ই-বিদ্যা চালু করা হবে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল,অনলাইন এবং বেতারের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হবে। এই পি এম ই-বিদ্যা চালু হলে ২৫ কোটি পড়ুয়া উপকৃত হবে।পাশাপাশি উপকৃত হবে দিব্যাঙ্গ ছাত্র ছাত্রীরা।


(২) এই আন্তর্জাতিক মহামারী পরিস্থিতিতে ছাত্র ছাত্রী,শিক্ষক এবং পরিবারের সদস্যদের ভালো থাকার জন্য মানসিক বা মনস্তাত্ত্বিক সাহায্য প্রয়োজন। এই লক্ষ্যে 'মনদর্পন' প্রচেষ্টা শুরু করা হয়েছে।


(৩) উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে ই -লার্নিং এর পরিধি বাড়াতে চলেছে সরকার: মুক্ত,দূরত্ব এবং অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষাদানের ক্ষেত্র গুলিকে অনেকটাই খুলে দেওয়া হবে। দেশের ১০০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যেই অনলাইনে শিক্ষা দান শুরু হয়ে গেছে। এর ফলে দেশের ৭ কোটি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী উপকৃত হবে।

(৪) চালু করা হচ্ছে ন্যাশনাল কারিকুলাম এন্ড পেডাগজিকাল ফ্রেমওয়ার্ক। এর মাধ্যমে স্কুল এডুকেশন,শিক্ষক এডুকেশনকে বিশ্ব স্তরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে।

(৫) পাশাপাশি চালু করা হচ্ছে এ ন্যাশানাল ফাউন্ডেশনাল লিটারেসি এন্ড নিউমারেসি মিশন।এর মাধ্যমে ৩ বছর থেকে ১১ বছরের ৪ কোটি শিশু উপকৃত হবে।



credit: pib