অর্থমন্ত্রী, অনাদায়ী ঋণগ্রস্ত ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পকে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ ঘোষণা করলেন।
ঋণগ্রস্ত ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের ব্যবসা বৃদ্ধিতে বরাদ্দ ৫০ হাজার কোটি টাকা।
বেসরকারি কর্মীর বেতন থেকে ১০%, সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে ১২% পিএফ কাটা হবে।
১৫ হাজারের থেকে কম বেতনের কর্মীর ইপিএফ ৩ মাস দেবে সরকার
বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলির জন্য আরএসডি 90,000 কোটি টাকা
এনবিএফসি-র জন্য ৩০ হাজার কোটির প্রকল্প ঘোষণা
৫০,০০০ কোটি টাকা তহবিলের মাধ্যমে এমএসএমইগুলির
দেশবাসীর জন্য ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের বিশদ বিবরণ জানাবেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, তা গতকালেই ঘোষণা করেছেন মোদী। বিকাল চারটায় সাংবাদিক বৈঠকে বসেছেন অর্থমন্ত্রী।
শিল্পমহল, বণিকসভা ও প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করে অর্থমন্ত্রক একটি সার্বিক অর্থনৈতিক প্যাকেজ তৈরি করেছে। এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে, 'আত্মনির্ভর ভারত'। পাঁচটি স্তম্ভের উপর আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে হবে- অর্থনীতি, পরিকাঠামো, প্রযুক্তি নির্ভর সিস্টেম, জনসংখ্যা এবং চাহিদা।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেন। এরজন্য ল্যান্ড, লেবর, লিক্যুইডিটি ও ল এই চার L এ জোর দেওয়ার কথা জানালেন তিনি, অর্থাৎ, জমি, শ্রমিক, বাজারে অর্থের যোগান ও আইন এই চারটির ওপর জোর দিতে হবে বলেই জানাচ্ছেন তিনি।
নির্মলা সীতারমণ জানালেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে বাজেটের পরই করোনার প্রকোপ শুরু। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৬টি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ঋণের জন্য ৩ লাখ কোটি টাকা। ৪ বছরের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ঋণ। এই ঋণে ১ বছরের জন্য সুদ স্থগিত থাকবে। ৪৫ লক্ষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ইউনিট উপকৃত হবে’। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৩ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। মোট ১৫টি পদক্ষেপ করা হয়েছে। ৬টি পদক্ষেপ ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অতিক্ষুদ্র ক্ষেত্রের জন্য। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া কৃষি, শিল্প-সহ প্রায় সব ক্ষেত্রে বিপুল সংস্কার হয়েছে। উজ্জ্বলা যোজনায় বিনামূল্যে গ্যাস দেওয়া হচ্ছে। ব্যাঙ্ক মিত্ররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা দিয়ে আসছেন। সেই টাকা আনতে ব্যাঙ্কে যাওয়ারও প্রয়োজন নেই। গরিবদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়া হচ্ছে। লকডাউনের সময় তার সুফল ভোগ করছে মানুষ।
অর্থমন্ত্রী, অনাদায়ী ঋণগ্রস্ত ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পকে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ ঘোষণা করলেন। এর ফলে উপকৃত হবে ২ লক্ষ ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প।এনপিএ আওতায় পড়া ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পকেও ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ। ঋণগ্রস্ত ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের ব্যবসা বৃদ্ধিতে বরাদ্দ ৫০ হাজার কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী আরও জানালেন, ‘২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত গ্লোবাল টেন্ডার নয়। বিদেশি সংস্থার জায়গায় দেশি সংস্থা অংশগ্রহণ করবে। এর ফলে দেশের ছোট ছোট সংস্থা অংশ নিতে পারবে। ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেন হলে মাইক্রো ইউনিট। ১ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ হলে মাইক্রো ইউনিট।
ইপিএফ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর। অর্থমন্ত্রী জানালেন, ‘বেসরকারি কর্মীর বেতন থেকে ১০% ইপিএফ কাটা হবে। ৩ মাস ধরে ১০% ইপিএফ কাটা হবে। সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে ১২% পিএফ কাটা হবে। অর্থমন্ত্রী জানালেন, ‘এর ফলে হাতে বেশি বেতন পাবেন ইপিএফ গ্রাহকরা। সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে ১২% ইপিএফ কাটা হবে। ১৫ হাজারের থেকে কম বেতনের কর্মীর ইপিএফ ৩ মাস দেবে সরকার’। আগামী ৩ মাস ইপিএফে ২ শতাংশ দেবে কেন্দ্র, ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের। কর্মজীবীদের হাতে টাকা রাখতে এই সিদ্ধান্ত।
এনবিএফসি-র জন্য ৩০ হাজার কোটির প্রকল্প ঘোষণা।
৫০,০০০ কোটি টাকা তহবিলের মাধ্যমে এমএসএমইগুলির জন্য ইক্যুইটি আধান; মাদার ফান্ড এবং কয়েকটি কন্যা তহবিলের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এটি এমএসএমই আকারের পাশাপাশি ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করবে জানালেন অর্থমন্ত্রী।
বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলির জন্য আরএসডি ৯০০০০ কোটি টাকার লিকুইডিটি ইনজেকশন। অর্থমন্ত্রী আরও জানালেন, ‘কাজ শেষের জন্য সরকারি ঠিকাদারদের আরও ৬ মাস সময় দেওয়া হবে।’
৫০,০০০ কোটি টাকা তহবিলের মাধ্যমে এমএসএমইগুলির জন্য ইক্যুইটি আধান; মাদার ফান্ড এবং কয়েকটি কন্যা তহবিলের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এটি এমএসএমই আকারের পাশাপাশি ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করবে জানালেন অর্থমন্ত্রী।
বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলির জন্য আরএসডি ৯০০০০ কোটি টাকার লিকুইডিটি ইনজেকশন। অর্থমন্ত্রী আরও জানালেন, ‘কাজ শেষের জন্য সরকারি ঠিকাদারদের আরও ৬ মাস সময় দেওয়া হবে।’
ঠিকাদারদের এক বিরাট ত্রাণ। সমস্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি ঠিকাদার এবং ব্যয় ছাড়াই, নির্মাণ এবং পণ্য ও পরিষেবার চুক্তি সমাপ্তির মতো কাজগুলিতে বাধ্যবাধকতায় ৬ মাস পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়ে দিল।
আবাসন মন্ত্রণালয় রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং তাদের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে পৃথক আবেদন ছাড়াই ২৫শে মার্চ, ২০১০ বা তার পরে মেয়াদ শেষ হওয়া সমস্ত নিবন্ধিত প্রকল্পগুলির জন্য রেজিস্ট্রেশন এবং সমাপ্তির তারিখ সু-মোটোকে ৬ মাস বাড়ানোর পরামর্শ দেন অর্থমন্ত্রী।
টিডিএস / টিসিএসের হারগুলি ৩১ মার্চ, ২০২১ সালের মধ্যে ২৫% হ্রাস করা হবে বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী।
টিডিএস / টিসিএসের হারগুলি ৩১ মার্চ, ২০২১ সালের মধ্যে ২৫% হ্রাস করা হবে বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী।
পাশাপশি, ২০১৯-২০২০ সালের আয়কর রিটার্নের নির্ধারিত তারিখ এখন ৩১ জুলাই থেকে ৩১ অক্টোবর ২০২০ থেকে ৩০ নভেম্বর ২০২০ এ বাড়ানো হচ্ছে বলে জানালেন তিনি।
pic source: ANI
Social Plugin