ক্ষুদিরাম স্মৃতি রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে ক্ষুদিরাম স্কোয়ারে নজরুল এর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন শিক্ষক সর্বানন্দ বর্মন মহাশয়। মাল্যদান করেন কমিটির পক্ষে নেপাল মিত্র, রীনা ঘোষ সহ আরো অনেকেই।

কোচবিহার এর তৎকালীন প্রচলিত ভাওয়াইয়া গান "নদীর নাম সই কচুয়া, মাছ মারে মাছুয়া" এই গানের সুরে নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন "নদীর নাম সই অঞ্জনা, নাচে তীরে খঞ্জনা" এটি ১৯৩২ সালে আব্বাস উদ্দিন আহমেদ রেকর্ড করেছিলেন। শিক্ষক সর্বানন্দ বর্মন মহাশয় সেই গান পরিবেশন করেন। পাশাপাশি, সুমন পন্ডিত ও বিশাল দাস নজরুল ইসলামের "মানুষ" কবিতাটি পাঠ করেন। 

ক্ষুদিরাম স্মৃতি রক্ষা কমিটির পক্ষে নেপাল মিত্র বলেন, আমাদের দেশে রামমোহনের পথ বেয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সেক্যুলার মানবতাবাদের যে আদর্শকে উর্দ্ধে তুলে ধরেছিলেন, সেই আদর্শকে কাব্যে রূপ দিয়েছেন কবি নজরুল ইসলাম।তাই তাঁর বিদ্রোহী কবিতায় সেই মানুষের জয়গান শুনি,যে মানুষ উন্নতশির, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন- "আমি বিদ্রোহী ভৃগু ভগবান বুকে এঁকে দিই পদচিহ্ন/আমি স্রষ্টা সুদন শোকতাপ হানা খেয়ালী বিধির /বক্ষ করিব ভিন্ন।"

তিনি আরও বলেন, তিনি জানতেন,"স্নেহের হাত বুলিয়ে এ পচা সমাজের কিছু ভালো করা যাবেনা।"তাই নিজের সাহিত্যসাধনা সম্পর্কে স্পষ্ট করেই বলেছেন,"আমি বিদ্রোহ করেছি,বিদ্রোহের গান গেয়েছি অন্যায়ের বিরুদ্ধে- যা মিথ্যা,কলুষিত,পুরাতন-পচা সেই মিথ্যা সনাতনের বিরুদ্ধে, ধর্মের নামে ভণ্ডামি ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে।"তাই তাঁর কাব্যে সমাজ আকাঙ্খার প্রতিফলন পাই।আর এখানেই নজরুল সাহিত্যের সৌন্দর্য্য- সত্যসাধনার পথেই সেই সুন্দরের সৃষ্টি।