করোনা সংক্রমনের জেরে সারা দেশেই চলছে লক ডাউন। লক ডাউনের জেরে কর্মহীন হয়ে পড়েছে বহু মানুষ। ভিন রাজ্যে থাকা মানুষেরা কর্মহীন হওয়ায় ঘরমুখী হয়েছে। সরকারি তরফে, তাঁদের ফেরাতে রেল কিংবা বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে রয়েছে কিছু বিধি-নিষেধ।
স্বাস্থ্য দপ্তরের নিয়মে, বাড়ি ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকতে হবে হোম কোয়ারাইন্টিনে। যদি কোনো পরিযায়ী শ্রমিকের উপসর্গ দেখা যায় তবে ১৪দিনের জন্য সরকারী নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু, এই কোয়ারাইন্টিনে থাকতে গিয়ে তৈরি হচ্ছে নানান সমস্যা। কর্তৃপক্ষের দিকে উঠছে আঙুল। তাঁদের চূড়ান্ত অসহযোগিতার চিত্র ফুঁটে উঠেছে দিনহাটার কিছু কোয়ারাইন্টিন সেন্টারে।
সম্প্রতি সেই চিত্র তুলে ধরে ফেসবুকে পোস্ট করে দিনহাটার জনৈক এক শিক্ষক লেখেন, " কোয়ারেন্টাইনের ভেতরে যাঁরা ছিলেন তাঁরা আজ চরম ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সেই অবস্থায় কোনো প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে চৌহদ্দিতে দেখিনি। একজন মেডিক্যাল অফিসার এসছিলেন। তার বিরুদ্ধেও দেখলাম ওখানে যাঁরা আছেন তাঁদের চরম ক্ষোভ। তিনি ওই কোলাপসিবল্ গেটের ভেতরে আজ পর্যন্ত যাননি , এমনকি তাঁদের কোনো উপসর্গ পরীক্ষা করে দেখেননি। ভেতরের চরম অব্যবস্থা সম্পর্কে প্রথমদিনে ক্ষোভ প্রকাশ করায় আমার পরিচিত পরিবারটির নমুনা সংগ্রহ করবেন না বলে হুমকি দিয়েছিলেন ওখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার। এমনকি তাঁদের এই বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে যে , তাঁদের নাকি কোভিড পজেটিভ করে ঝুলিয়ে রাখা হবে। "
গতকাল সকালে একটি লাইভ ভিডিওতে দেখা যায় দিনহাটা হিমঘর লাগোয়া একটি কোয়ারিন্টিন সেন্টারে মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে একটি দল ভোর ৪ টায় এসে পৌছায়। অথচ এসে তাদের বাইরেই থাকতে হয় বলে অভিযোগ। এমনকি সেখানে থাকার কোন ব্যবস্থাই প্রশাসন করেনি বলে অভিযোগ। ফলে স্বভাবতই ক্ষোভে ফেটে পড়ে সেই দলটি। তারা জানায়- মহারাষ্ট্র সরকার অনেক উপকার করেছে- আমাদের রাজ্যের সরকার কিছুই করেনি।
গতকাল সন্ধ্যায় আবার প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় দিনহাটার প্রশাসনিক ব্যবস্থা। গতকাল দিনহাটা 3নং ওয়ার্ডে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আসা হয় কোয়ারেন্টাইনে রাখার উদ্দেশ্যে, কিন্তু তারা খোলা রাস্তায় যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে, কেউ কেউ আবার হেঁটেই রওনা হয় বাড়ির পথে। 3নং ওয়ার্ড ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এলাকাবাসীরা স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, তাদের মতে এভাবে চলতে থাকলে দিনহাটাবাসীরা ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে।
Social Plugin