Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

বাড়ি ফেরার কাতর আর্তি পরিযায়ী শ্রমিকদের


করোনা সংক্রমন এখন বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রের কাছেই মাথাব‍্যাথার মূল কারণ। দিনের পর দিন অতিবাহিত হলেও করোনার থাবা কমছে না ভারতেও। করোনা সংক্রমন রুখতে দেশজুড়ে তৃতীয় দফায় লক ডাউন চলছে। তৃতীয় দফায় লক ডাউন মেয়াদ শেষ ১৭ই মে, তারপর কি হবে সেনিয়ে এখোনো কোনো আভাস মেলেনি। ইতিমধ‍্যেই লক ডাউনের জেরে ভিনরাজ‍্যে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিক, ছাত্র ও পর্যটকদের ফেরাতে উদ‍্যোগ নিয়েছে রাজ‍্যগুলি। যদিও, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর অভিযোগ করেন যে, রাজ‍্য সহায়তা করছেন না। অন‍্যদিকে, আজকেই ৭টি ট্রেনের অনুমতি দিয়েছে নবান্ন বলেই সূত্রের খবর। 

এদিকে, লক ডাউনের জেরে কর্মহীন শ্রমিকেরা পেটের দায়ে কাতরাচ্ছে দেশের বিভিন্নপ্রান্তে। রাজ‍্যমুখী হতে চাইলেও অর্থহীন। পাশাপাশি যাতায়তের জন‍্য ট্রেন ব‍্যবস্থাও বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে কষ্টের মধ‍্যে দিন কাটছে তাঁদের। এমনিই চিত্র ফুটে উঠছে বারবার। শিশু, যুবক-যুবতী, মধ‍্য বয়স্ক মানুষ রয়েছেন এই তালিকায়। 

ইটভাটায় কাজ করতে যাওয়া ২৫ থেকে ৩০টি পরিবারের মোট ১০০জন শ্রমিক অনাহারে নানান সমস‍্যায় দিন কাটাচ্ছে বলেই জানান তাঁরা। তাদের বেশিরভাগ মানুষ কোচবিহার জেলার দিনহাটার বাসিন্দা। তাঁদের কাতর আর্তি তাদের ঘরে ফেরানোর বন্দোবস্ত করা হোক নয়তো খাবারের ব‍্যবস্থা করা হোক। বিহারের পূর্ণিয়ায় জেবিআর ইট ভাটায় কাজ করতেন তাঁরা। কিন্তু লক ডাউনের জেরে কাজ বন্ধ। ফলে তাঁদের দৈনিক রোজগার বন্ধ। যতটুকু টাকা ছিল তা শেষ হয়ে গেছে। ইট ভাটার মালিকও তাঁদের খাবারের ব‍্যবস্থা করছে না বলেই অভিযোগ। প্রায় মাস খানেক ধরে অনাহারেই দিন কাটছে তাঁদের কখনো এক মুঠো মুড়ি কোনো বেলা শুধু জল এমন করেই চলছে বলে জানান তাঁরা। 

তাঁরা আরো জানান, পার্শ্ববর্তী থানায় যোগাযোগ করা হলেও তাদের কোনো হেলদোল নেই।

Ad Code