Prime Minister said that we must understand that the World has fundamentally changed post COVID-19.
গতকাল প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। অনেক বিষয় নিয়ে সমস্ত মুখ্যমন্ত্রী প্রাধানমন্ত্রীর কাছে তাঁদের বক্তব্য রাখেন বলে জানা গেছে। যদিও বিগত বৈঠকগুলোতে সব মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলার সুযোগ পাননি।

বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে এই মহামারীর সংক্রমণের কিভাবে ভৌগলিক এলাকায় বিস্তার ঘটেছে, এমনকি কোন কোন এলাকায় অত্যধিক সংক্রমণ ঘটেছে, সেসম্পর্ক আমাদের এখন স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়েছে । সর্বোপরি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আধিকারিকরা বুঝতে পেরেছেন, যে এই মহামারীর মোকাবিলা এখন জেলাস্তরে করতে হবে।’


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ আমাদের এখন দ্বিমুখী চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে। একদিকে এই অসুখের সংক্রমণের হার কমাতে হবে আর অন্যদিকে সমস্ত নির্দেশাবলী মেনে সকলের কাজকর্মের পরিমাণ ক্রমশ বাড়াতে হবে। এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।’

এদিন তিনি জানান, “আমাদের বুঝতে হবে, কোভিড – ১৯ পরবর্তী সময় বিশ্বের মূল বিষয়ে পরিবর্তন হয়েছে। এখন বিশ্বযুদ্ধের মতো প্রাক-করোনা এবং করোনা পরবর্তী সময় চিহ্নিত হবে। আর এর মাধ্যমে আমাদের কাজের ধারারও তাৎপর্যপূর্ণভাবে পরিবর্তন আসবে।“

তিনি বলেন, জীবনের নতুন ধারা এখন ‘জন সে লে কার জগ তক’ নীতিতে চলবে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তিবিশেষ থেকে কোন কিছু শুরু হয়ে সমস্ত মানব জাতি পর্যন্ত তা ছড়িয়ে দেবার নীতিতে জীবন চলবে। এইজন্য নতুন বাস্তবতার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে পরিকল্পনা গ্রহনের কথা তিনি জানান। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন আমরা পর্যায়ক্রমে লকডাউন প্রত্যাহার করার কথা ভাবছি, একই সঙ্গে আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা এখনও কোনো টীকা বা অন্য সমাধান খুঁজে পাই নি। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামাজিক দূরত্বই আমাদের এখন বড় হাতিয়ার।’


প্রধানমন্ত্রী এদিন আবারও ‘দো গজ কি দূরী’ নীতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন মুখ্যমন্ত্রী, রাত্রিকালীন কারফিউয়ের যে পরামর্শ দিয়েছেন, তার থেকে জনসাধারণের মধ্যে সতর্ক থাকার প্রবণতাই প্রতিফলিত হচ্ছে। সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের  আগামী ১৫ই মে-র মধ্যে একটি বিস্তারিত নীতিকৌশল জানাতে বলেছেন, যেখানে রাজ্যগুলি লকডাউনের সময় কিভাবে কাজ করবে, সেবিষয়ে একটি ধারণা পাওয়া যাবে। লকডাউনের সময় এবং পরবর্তী পর্যায়ে তা ধীরে ধীরে শিথিল করার সময়, রাজ্যগুলি কিভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে, সেবিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সামনে যে সব চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে, তা মোকাবিলা করার জন্য একটি সর্বাত্মক প্রয়াস নিতে হবে। বর্ষার আগে কোভিড – ১৯ ছাড়াও অন্য অনেক রকমের অসুখ সামনে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরো জোরদার করতে হবে।“




source: pib