করোনার প্রকোপ থেকে রেহাই পাচ্ছে না কোনও দেশই। বিশ্বের বহু দেশ করোনার থাবা রুখতে জারি করেছে লক ডাউন। এখনও ভ্যাকসিন আবিস্কার হয়নি করোনার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকেও ভ্যাকসিন আবিস্কার সম্পর্কে তেমন কিছু আশার বাণী পাওয়া যায়নি। এদিকে, কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রক এবং কেন্দ্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ(সিএসআইআর) করোনার চিকিত্‍সায় আয়ুর্বেদ ও হোমিওপ্যাথিতেই বড় ভরসা রাখছে। 

আয়ুষ মন্ত্রক জানিয়েছে, অশ্বগন্ধা, যষ্টিমধু, গুড়ুচি পিপলি বা গুলঞ্চ এবং আয়ুষ ৬৪ —এই চার আয়ুর্বেদিক ওষুধ করোনার প্রতিষেধক হতে পারে। পেটের যে কোনও সমস্যা, আলসার, পাকস্থলীর সংক্রমণ বা প্রদাহজনিত রোগ, ব্রঙ্কাইটিস সারাতে যষ্টিমধু ব্যবহার করা হয়। গুড়ুচি পিপলি বা গুলঞ্চ লতার গাছের রসে আছে অ্যান্টি-অকসিডেন্ট, অ্যান্টি-হাইপার গ্লাইসেমিক, অ্যান্টি-অ্যালার্জিক, অ্যান্টি-নিওপ্লাস্টিক, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান। অশ্বগন্ধার এর মূল ও পাতা স্নায়বিক রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া বহু রোগের দাওয়াই হতে পারে অশ্বগন্ধা। আর আয়ুষ ৬৪ হল ম্যালেরিয়ার ওষুধ। তবে অন্য তিন ওষুধের সঙ্গে মিশ্রণে আয়ুষ ৬৪ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কাজ করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

আয়ুর্বেদের পাশাপাশি হোমিওপ্যাথির থেরাপির কথাও বলেছে আয়ুষ মন্ত্রক। করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য হোমিওপ্যাথির চিকিত্‍সা শুরু হয়েছে দেশজুড়েই। কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রক ও সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব হোমিওপ্যাথি (CCRH) যৌথ উদ্যোগে হোমিওপ্যাথি ওষুধ আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০ বা আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০ সিএইচ-এর ট্রায়াল চলছে মহারাষ্ট্রের পুণে ও মুম্বই, গুজরাট, কেরল ও পশ্চিমবঙ্গে।

শুক্রবার কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক টুইট করে জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই চার আয়ুর্বেদিক ওষুধের কম্বিনেশন ট্রায়াল করা হবে। এই ট্রায়ালের দায়িত্বে থাকবে সিএসআইআর। করোনা প্রতিরোধে দেশের সনাতন আয়ুর্বেদিক ওষুধগুলির গবেষণা শুরু হয়েছে।

করোনা মোকাবিলায় প্রথম সারির যোদ্ধাদের প্রথম এই আয়ুর্বেদিক প্রতিষেধক দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। পরে করোনা রোগীদের উপর ট্রায়াল করা হবে।