করোনা সংক্রমণ রুখতে সারা দেশে চলছে লক ডাউন। ঘরবন্দি মানুষ। বন্ধ দোকান- পাঠ, অফিস-আদালত, জিম, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সবকিছুই। যদিও কিছু কিছু সরকারি স্তর থেকে বেসরকারি সকল ক্ষেত্রেই শিথিল করে দিয়েছে লক ডাউন। কিন্তু, বিদ্যালয় , মহাবিদ্যালয় ও স্পোর্টস জগৎ আজ বন্ধ। 

লক ডাউন পরিস্থিতিতে নিজেদের ঠিক রাখা বড়ই কঠিন ক্ষুদেদের। কিন্তু শরীরচর্চা না করলে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি থমকে যাওয়ার ভয়কে নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকরাও। তাই বাড়িতেই চলছে অনলাইন কারাতে ক্লাস । 

ক্লাসের পাশাপাশি স্মার্ট ইভেন্ট ও বেঙ্গল ভারত কারাতে একাডেমির যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো 'ই কারাতে কাতা কম্পিটিশন'। দেশব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় 13 উর্ধ পুরুষ বিভাগে অংশগ্রহণ করেছিল আলিপুরদুয়ারের দুই ক্ষুদে প্রতিযোগী। আলিপুরদুয়ার সপ্তপর্নি'স কারাতে একাডেমি'র সুরজিৎ দাস ও সাহেব রায়। সবাইকে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে তাঁরা। 13 উর্ধ পুরুষ বিভাগে 'ই কারাতে কাতা কম্পিটিশন'-এ প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে সুরজিৎ দাস ও সাহেব রায়।

এছাড়াও 13 উর্ধ মহিলা বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করে আলিপুরদুয়ার সপ্তপর্নি'স কারাতে একাডেমি'র সুধা চিক বরাইক। সুধাও আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা। 

দেশব্যাপী আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় আলিপুরদুয়ার জেলার শিক্ষার্থীদের সাফল্যে যে মানসিক অনুপ্রেরণা যোগাবে তাতে সন্দেহ নেই বলেই জানান সেনসি সপ্তপর্নি। কোভিড 19 এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটাবড়ো অস্ত্র রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, তাই ঘরে বসে শরীর চর্চার জুড়ি মেলা ভার। সেদিক থেকে কারাতে শিক্ষার্থীরা মানসিক ও শারীরিক ভাবে লকডাউনের মাঝেও নিজেদের স্পিরিট টাকে ধরে রেখেছে তা এই অনলাইন প্রতিযোগতার সাফল্যে স্পষ্ট ।লোকডাউনে এমন একটি অনলাইন প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য আয়োজকদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি। 

অনলাইনে কাতা (কারাতে ইভেন্ট) কম্পিটিশনে ভারত ব্যাপী প্রায় 81 জন অংশগ্রহণ করেন। অনুর্ধ 13, মহিলা ও পুরুষ বিভাগ এবং 13 উর্ধ মহিলা ও পুরুষ বিভাগে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী সকলকেই শংসাপত্র প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে বেঙ্গল ভারত কারাতে একাডেমি।

আলিপুরদুয়ারের এই সাফল্য সত্যিই খুব আনন্দের। এলাকার সকলেই খুশি।