২০২০ সাল যেন প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে এতদিন ধরে প্রকৃতির ওপর হয়ে যাওয়া সমস্ত অত্যাচারের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। বছরের শুরু থেকেই চলছে মারণ ভাইরাস করোনার প্রকোপ। এরই মধ্যে বাংলার ওপর সুপার সাইক্লোনের ধ্বংসলীলা, উত্তরাখণ্ডের ভয়াবহ দাবানল। শোনা যাচ্ছে 'সোলার মিনিমাম', পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো খবর। দুশ্চিন্তা আরো বাড়িয়ে দিয়ে গবেষকরা জানিয়েছে সামনে হতে চলেছে ভয়াবহ ভূমিকম্প। এর কারন হিসেবে বলেছেন ভারত মহাসাগরের তলায় সুবিশাল টেকটনিক প্লেট ভেঙে যাচ্ছে।

সম্প্রতি গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মাঝে অবস্থিত ক্যাপ্রিকর্ন টেকটনিক প্লেটে ফাঁক দেখা যাচ্ছে। প্রত্যেক বছর 1.7 মিলিমিটার করে সরে যাচ্ছে এই প্লেট। আপাত দৃষ্টিতে এই গতি অত্যন্ত ধীর হলেও উদ্বিগ্ন রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর জেরে অদূর ভবিষ্যতে ভয়ঙ্কর কোনও ভূমিকম্প কিংবা সাংঘাতিক কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। আজ থেকে ৮ বছর আগে ২০১২ সালে ভারত মহাসাগরের নীচে দুটি জোরালো ভূমিকম্প হয়েছিল। রিখটার স্কেলে এই দুটি কম্পনের মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৮.৬ এবং ৮.২। আর এই দুই জোরালো ভূকম্পের জেরেই প্লেটের মধ্যে এই ফাটল ধরেছে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্যারিসের ইনস্টিটিউট অফ আর্থ ফিজিক্সের গবেষকরা জানিয়েছেন যে গতিতে এই দুই প্লেট একে অন্যের থেকে আলাদা হচ্ছে, কিংবা ফাটল ধরছে তাতে এক মাইল দূরত্ব যেতে ১০ লক্ষ বছর লাগবে। কিন্তু তাতেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে জলের অনেক গভীরে সব পরিবর্তন হওয়ায় নজরদারিতে সমস্যা অনেক বেশি। তাই অদূর ভবিষ্যতে ঠিক কী বিপর্যয় আসতে চলেছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা।