করোনা সংক্রমণের জেরে সারা দেশে চলছে লক ডাউন। এরই মাঝে রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গ আম্ফানে ঘূর্ণিঝড়ের থাবায় বিপর্যস্ত। এনিয়ে, মঙ্গলবার, এআইডিএসও'র ডাকে রাজ্যজুড়ে 'ছাত্র সমাজ দাবি জানাও' কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে কোচবিহার শহরের কাচারী মোড়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আধ ঘন্টা ধরে দাবি প্রদর্শন করে।

করোনা অতিমারীর আক্রমণে, অপরিকল্পিত লকডাউনে অনাহারে, দীর্ঘ পথ চলার পরিশ্রমে, আমপান বিপর্যয়ে হারিয়ে যাওয়া প্রাণের স্মরণে ও নিম্নলিখিত দাবিগুলোর ভিত্তিতে কাচারী মোড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।

দাবি গুলি হল- 
  • ১| সঙ্কটজনক এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কিত উদ্ভূত সমস্যার সমাধান একতরফা ভাবে নয়, ছাত্র-শিক্ষক-অতিমারী বিশেষজ্ঞের মতামতের ভিত্তিতেই করতে হবে।
  • ২| করোনা ও আমপান বিপর্যস্ত মানুষের জীবন ধারণের ন্যূনতম প্রয়োজন- খাদ্য- বাসস্থান-চিকিৎসা সহ শিক্ষা ও শিক্ষা সম্পর্কিত সমস্ত দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
  • ৩|পরিযায়ী শ্রমিক পরিবার সহ সমস্ত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্যে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে হবে।
  • ৪| সমস্ত ধরণের ফি মকুব ও গণপরিবহনে ছাত্রছাত্রীদের ফ্রি পাস দিতে হবে।
  • ৫| প্রযুক্তিগত সুবিধা থেকে বঞ্চিত সংখ্যা গরিষ্ঠ ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ বিরোধী কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া চলবে না।
  • ৬| কেন্দ্র, রাজ্য, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে এই সমস্যা সমাধানের উদ্দেশে জরুরী কালীন ভিত্তিতে ছাত্র সংগঠন- শিক্ষক সংগঠন- অতিমারি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয় কমিটি গড়ে তুলতে হবে।

এই কর্মসূচি করে ফেরার সময় পুলিশ এসে এআইডিএসও কোচবিহার জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আসিফ আলম সহ অন্যদের গ্রেপ্তারের হুমকি দেয় এবং গ্রেপ্তার করতে না পেরে সকলের নাম ঠিকানা লিখে নেয় বলেই অভিযোগ।

এই পরিপ্রেক্ষিতে এআইডিএসও কোচবিহার জেলা সভাপতি স্বপন বর্মন বলেন, করোনার আবহে একের পর এক জনবিরোধী নীতি গ্রহণ করে চলেছে সরকারগুলো। অথচ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশি জুলুম চলছে। এর বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ সহ সর্বস্তরের মানুষকে প্রতিবাদে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।