আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এই প্যাকেজের বিশদ বিবরণ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন বুধবার থেকে সাংবাদিক বৈঠকে বিস্তারিত জানাচ্ছেন। গতকাল চতুর্থ দফার স্টিমুলাস ঘোষণায় ৮টি ক্ষেত্রে পরিকাঠামোর সংস্কারের কথা বলেন সীতারমণ। সেই আটটি সেক্টরগুলি হল-- কয়লা, খনিজ পদার্থ, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন, এয়ারস্পেস ম্যানেজমেন্ট, বিদ্যুৎবণ্টন, মহাকাশ, পরমাণু শক্তি। সীতারমণ জানান, দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রকে সহায়তা দিতে বিগত কয়েকদিন ধরেই তিনি একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, আমরা একইসঙ্গে এটাও নিশ্চিত করতে চাই যে, কর জমা করতে মানুষকে কোনো হয়রানির মুখোমুখি না হতে হয়। একইভাবে, ছোট ও মাঝারি শিল্পকেও তুলে ধরা হবে।

আজ তাঁর শেষ বৈঠক। পঞ্চম দিনের বৈঠকে কি কি বলছেন অর্থমন্ত্রী- 
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জান হ্যায় তো জাহান হ্যায়। গরিব মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। করা হচ্ছে আর্থিক সহায়তা। অর্থনৈতিক প্যাকেজের চূড়ান্ত প্রবন্ধটি মনরেগা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাতে মনোনিবেশ করবে। 
  • ‘কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছে যাচ্ছে। জনধন অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি মানুষকে ১০ হাজার কোটি দেওয়া হয়েছে’।
  • উজ্জ্বলা প্রকল্পে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৬ কোটি ৮১ লক্ষ পরিবার উপকৃত হয়েছে।
  • পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের ফেরার ট্রেন ভাড়ার ৮৫ শতাংশ কেন্দ্র দিচ্ছে।
  • ‘কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছে যাচ্ছে। জনধন অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি মানুষকে ১০,২২৫ কোটি দেওয়া হয়েছে। উজ্জ্বলা প্রকল্পে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস দেওয়া হয়েছে। ৬ কোটি ৮১ লক্ষ পরিবার উপকৃত হয়েছেন।’
  • কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছে গেছে। এতে ৮ কোটি ১৯ লক্ষ কৃষক উপকৃত হয়েছেন, দাবি নির্মলার।
  • করোনা মোকাবিলায় ৭ দফা পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র
  • ১৫ হাজার কোটি টাকা করোনা মোকাবিলায় বরাদ্দ হয়েছে। 
  • স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দেশেই পিপিই তৈরি হচ্ছে। দেশে ৩০০-র বেশি পিপিই তৈরির সংস্থা গড়ে উঠেছে।
  • ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিকের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে
  • ১২ লক্ষ কর্মী ইপিএফ থেকে ৩৩৬০ কোটি টাকা তুলেছেন
  • ৫১ লক্ষ পিপিই কিট সরবরাহ করা হয়েছে
  • ইন্টারনেটের সংযোগ নেই যাদের, তাদের জন্য স্বয়ম প্রভা ডিটিএইচ চ্যানেল চালু করা হয়েছে; এখন আরও ১২ টি চ্যানেল যুক্ত করা হবে
  • শিক্ষাক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ডিটিএইচ পরিষেবার মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষার ব্যবস্থা। 
  • ই-পাঠশালার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
  • প্রত্যেক ব্লকে পাবলিক হেলথ ল্যাব তৈরি হবে
  • ১০০ দিনের কাজে অতিরিক্ত ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ, তার ফলে ৩০০ কোটি নতুন কর্মদিবস তৈরি হবে
  • ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে ভার্চুয়াল ক্লাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 
  • সব রাজ্যে ই-টেক্সট বুক পাঠানো হবে। 
  • ওয়ান ক্লাস, ওয়ান চ্যানেল শুরু হতে চলেছে। 
  • রেডিও-র মাধ্যমেও ক্লাস করানোর ব্যবস্থা করা হবে। ‘
  • বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্যেও ই-কনটেন্টের ব্যবস্থা হবে।
  • ‘গ্রাম ও শহরে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। 
  • গ্রামীণ এলাকায় মহামারী মোকাবিলার পরিকাঠামো বাড়ানো হচ্ছে। 
  • হাসপাতালগুলিতে সংক্রমণ রোগের চিকিসার ব্যবস্থা হবে। 
  • দেশের সব জেলায় সংক্রমণ রোগের পরীক্ষার জন্য ল্যাব তৈরি হবে।
  • ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে দেউলিয়া ঘোষণার সীমা বৃদ্ধি। ১ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত। ছোটখাটো ত্রুটির ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপ করা হবে না।
  • ‘রাজ্যগুলিকে ইতিমধ্যেই ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি দেওয়া হয়েছে।
  • স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি দেওয়া হয়েছে। 
  • রাজ্যগুলি টানা ৩ সপ্তাহের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে ওভারড্রাফট করতে পারবে। 
  • রাজ্যগুলি ৮৬ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়ায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। 
  • জিডিপি-র নিরিখে ৩ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ ঋণ নেওয়ায় ছাড়। ফলে ৪.২৮ লক্ষ কোটি টাকা রাজ্যগুলি বাজার থেকে ঋণ নিতে পারবে।’
  • রাজ্যগুলি এখনও পর্যন্ত তাদের অনুমোদনের মাত্র 14% ঋণ নিয়েছে যার 86% সীমা অব্যবহৃত রয়েছে। কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যগুলির ঋণ সীমা 3% থেকে বাড়িয়ে গ্রস স্টেট ডমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিএসডিপি) এর 5% করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে 2020-21 এর জন্য ।