· আমানত 32.04% বেড়ে হয়েছে 57,082 কোটি টাকা

· ঋণের খাতায় 60.46% বৃদ্ধি হওয়ায় তা পৌঁছে গিয়েছে 71,846 কোটি টাকায় 

কলকাতা, ১২ মে: আজ মঙ্গলবার, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের শেষ ত্রৈমাসিকে তাদের ব্যবসার ফলাফল ঘোষণা করল বন্ধন ব্যাঙ্ক। পূর্ববর্তী আর্থিক বছরের তুলনায় ব্যাঙ্কের মোট ব্যবসার আয়তন বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে 1,28,928 কোটি টাকা। এই নিয়ে পঞ্চমবার কোনো আর্থিক বছরের শেষ ত্রৈমাসিকের (Q4) ফলাফল ঘোষণা করা হল।

২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে ব্যাঙ্কিং অপারেশন শুরু করেছিল বন্ধন। এ বছর অগস্ট মাসে ব্যাঙ্কের পাঁচ বছর পূর্ণ হবে। মাত্র এই সাড়ে চার বছরেই বন্ধন ব্যাঙ্ক গোটা দেশে 4559 গুলি ব্যাঙ্কিং আউটলেট খুলে ফেলেছে, আর তার মাধ্যমে পরিষেবা দিয়েছে 2.01 কোটি গ্রাহককে। সদ্য সমাপ্ত আর্থিক বছরে ব্যাঙ্কের গ্রাহক সংখ্যা আরও 11 লক্ষ বেড়েছে। বন্ধন ব্যাঙ্কের মোট কর্মীর সংখ্যা এখন 39,750। 

আগের বছরের তুলনায় (২০১৮-১৯) বন্ধন ব্যাঙ্কের আমানাত বেড়েছে 32.04 শতাংশ হারে। ব্যাঙ্কের মোট আমানতের বহর এখন 57,082 কোটি টাকা। ব্যাঙ্কের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ও সেভিংস অ্যাকাউন্ট(কাসা) মিলিয়ে আমানত 19.36 শতাংশ হারে বেড়েছে।



বৃদ্ধি হয়েছে ঋণের খাতাতেও। গত বছরের তুলনায় ব্যাঙ্কের দেওয়া ঋণের বহর 60.46 শতাংশ বেড়েছে। ব্যাঙ্ক-এর মোট ঋণ তথা অগ্রিমের আয়তন এখন 71,846 কোটি টাকা। ব্যাঙ্কের এনপিএ তথা অলাভজনক সম্পত্তি এখন 0.58 শতাংশ।

ব্যাঙ্কের ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রেশিও (সিএআর) তথা মূলধনের পর্যাপ্ততার অনুপাত ব্যাঙ্কের স্থায়িত্বকে দর্শায়। মুনাফা সহ বন্ধন ব্যাঙ্কের সিএআর 27.4 শতাংশ, যা কিনা গ্রহণযোগ্য অনুপাতের তুলনায় অনেক বেশি।



ব্যাঙ্কের এই বছরে নিট মুনাফা হয়েছে 3024 কোটি টাকা। যা গত বছরের মুনাফার তুলনায় 54.96 শতাংশ বেশি। 

এই ফলাফল প্রসঙ্গে বন্ধন ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, “অর্থনীতির মন্দোগতির জন্য এ বছরটা খুবই চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে সমগ্র ব্যাঙ্কিং শিল্প। তা সত্ত্বেও আমরা নিজেদের আরও মজবুত ও দৃঢ় করে তুলতে পেরেছি। গ্রাহকরা আমাদের উপর যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন তার জন্যই এই বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। আর্থিক বছরের শেষ দু’সপ্তাহে বিশ্ব জুড়ে কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব শুরু হয়ে গিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু আমাদের ব্যবসায় তার কোনও উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েনি। আমাদের কর্মীদের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও ভাল ও নিরন্তর পরিষেবা দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক দায়বদ্ধ। আর তার মাধ্যমে সমাজে ও অর্থনীতিতে প্রকৃত বদল আনতেও অঙ্গীকারবদ্ধ আমরা। ”