গতকাল প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। অনেক বিষয় নিয়ে সমস্ত মুখ্যমন্ত্রী প্রাধানমন্ত্রীর কাছে তাঁদের বক্তব্য রাখেন বলে জানা গেছে। যদিও বিগত বৈঠকগুলোতে সব মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলার সুযোগ পাননি।

বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে এই মহামারীর সংক্রমণের কিভাবে ভৌগলিক এলাকায় বিস্তার ঘটেছে, এমনকি কোন কোন এলাকায় অত্যধিক সংক্রমণ ঘটেছে, সেসম্পর্ক আমাদের এখন স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়েছে । সর্বোপরি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আধিকারিকরা বুঝতে পেরেছেন, যে এই মহামারীর মোকাবিলা এখন জেলাস্তরে করতে হবে।’


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ আমাদের এখন দ্বিমুখী চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে। একদিকে এই অসুখের সংক্রমণের হার কমাতে হবে আর অন্যদিকে সমস্ত নির্দেশাবলী মেনে সকলের কাজকর্মের পরিমাণ ক্রমশ বাড়াতে হবে। এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।’

তিনি এই বৈঠকে আরও বলেন, বিভিন্ন মুখ্যমন্ত্রী, রাত্রিকালীন কারফিউয়ের যে পরামর্শ দিয়েছেন, তার থেকে জনসাধারণের মধ্যে সতর্ক থাকার প্রবণতাই প্রতিফলিত হচ্ছে। সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের  আগামী ১৫ই মে-র মধ্যে একটি বিস্তারিত নীতিকৌশল জানাতে বলেছেন, যেখানে রাজ্যগুলি লকডাউনের সময় কিভাবে কাজ করবে, সেবিষয়ে একটি ধারণা পাওয়া যাবে। লকডাউনের সময় এবং পরবর্তী পর্যায়ে তা ধীরে ধীরে শিথিল করার সময়, রাজ্যগুলি কিভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে, সেবিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী।

আজ নবান্ন সভাঘরে সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। গ্রামীণ অর্থনীতি চালু করার উপর জোর দিয়ে এগোতে চাইছেন তিনি। তিনি বলেন, ''দু'মাস ধরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ। জেলাশাসকদের বলা হচ্ছে, ১০০ দিনের কাজে জোর দিতে। আরও বেশি লোককে কাজে নিয়োগ করতে। এ ছাড়া ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদেরও কাজ দেওয়ার জন্য জেলাশাসকদের বলা হয়েছে।''
  • জুয়েলারি, ইলেকট্রিক দোকান খুলছে 
  • ১০০ দিনের কাজে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে লাগানো হবে 
  • কোন জোনে কোন দোকান খুলবে পুলিশ ঠিক করবে 
  • রেড জোন বি, সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখলে বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে 
  • বিড়ি বা চা শিল্পে ৫০% শ্রমিক নিয়ে কাজ হবে 
  • গ্রীন জোনে সব যানবাহন চলতে পারে 
  • ১১ লক্ষ কিষান ক্রেডিট কার্ডের অনুমোদন 
  • সচেতনতা নিয়ে ক্লাবগুলো কাজ করুক 
  • করোনা তালিকায় ১০ নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ 
  • কেন্দ্রের কাছে খালি থালা নিয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে 
  • পরিকল্পনা না করেই লক ডাউন করায় এত সমস্যা 
  • বাংলায় প্রায় ১ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক এসেছে 
  • গ্রামীণ অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, এর জন্য ১০০ দিনের কাজে জোড় দিতে হবে 
  • যাদের ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই তাঁরা বিডিওর কাছ থেকে বিশেষ কুপন সংগ্রহ করবে, ডিএম দের বলা হয়েছে কেউ যেন অনাহারে না থাকে সে দিকে বিশেষ নজর দিতে 
  • আগামী তিন মাসের মধ্যে ডিজিটাল রেশন কার্ড বানিয়ে নিতে হবে
> শুধু বাংলার নয়, অন্য রাজ্যের শ্ৰমিকরাও বাইরে থাকে। অন্য রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মহামারী আইন প্রয়োগ হবে।
    > আমার প্রধান কাজ হচ্ছে বাইরে আটকে পড়া মানুষদের ঘরে ফেরানো, তাদের কাজ দেওয়া, খাদ্যের ব্যবস্থা করা।
       
        > লকডাউন ভেঙে যারা দাঙ্গা করছেন তাদের লজ্জা থাকা উচিত। তাঁদের বিরুদ্ধে করা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
          > ডাক্তার, নার্স, পুলিশকর্মীদের মতো যাঁরা এই দুর্যোগের সময় অসহায় মানুষের সাহায্য করছেন তাঁদের পাশে দাঁড়ান।
            > আবার ধর্মকে সম্মান করে বাংলার ঐতিহ্য। এই সময়ে হিন্দু-মুসলমান হিসেবে করছেন কেনো?
              > এই ভয়ঙ্কর রোগটি এসেছে বাইরে থেকে। সবাই মিলে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
                > করোনার জন্য অন্য চিকিৎসা মার খাচ্ছে।চিকিৎসকদের বলছি আগে চিকিৎসা করুন, টেস্টের কথা পরে ভাববেন।
                  > স্বাস্থকর্মীদের কাজে বাধা দেবেন না কেউ। তাঁরা আপনাদের ভালোর জন্য কাজ করছে। তাঁদের বাধা দিলে আপনার ওপর মহামারী আইন প্রয়োগ করা হবে।
                    > রাজ্যে এখন প্রায় ১ লক্ষের বেশী লোক ঢুকেছে। একসঙ্গে এতো লোক একবারে ঢোকানো যাবেনা। স্ক্রিনিং করাতে হবে।
                      > বাসে করেই প্রায় ৯০ হাজারের মতো লোক ঢুকেছে। বাসে বা গাড়িতে রাজ্যে ঢুকতে চাইলে আগে থেকে জানাবেন। ডিএম, এসপি দের জানাতে হবে।
                        > আরও ১০০ টি ট্রেনের ছাড় দেওয়া হবেন
                          > আমার বিরুদ্ধে অনেকেই ষড়যন্ত্র করছেন। এই দুঃসময়ে রাজনীতি করবেন না। নির্বাচন এখনো দেরি আছে।
                            > নতুন স্বাস্থ্যসচিব হয়েছেন নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তাঁকে আধিকারিকদের সাথে পরামর্শ করার কথা বলা হয়েছে।
                              > এখনো ৫২ হাজার কোটি টাকা বকেয়া আছে। এই পরিস্থিতিতেও বকেয়া মেটাতে হচ্ছে।
                                > রেশন খাতে প্রচুর ব্যয় হচ্ছে।