গুজব রুখতে সচেতনতামূলক প্রচার প্রয়াসের

SER-10, ময়নাগুড়ি, ২৫ মে: করোনার জেরে মানবজাতি আজ সংকটে। বিভিন্ন দেশের সাথে করোনার থাবা থেকে বাদ পড়েনি ভারতবর্ষ। ২০২০ সালে অজানা কোনো অভিশাপে ভুগছে গোটা দেশ।

একদিকে করোনার জেরে লক ডাউন, গৃহবন্দি মানুষ। অপরদিকে কাজ হারিয়ে ফেলেছে খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষেরা। অপরদিকে কাজ বন্ধ বিদেশ থেকে নিজের পরিবারের টানে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরছে নিজের স্বজনদের কাছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজের  বাড়িতে পৌঁছে দিতে সরকারের  তরফ থেকে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন উদ্যোগ।

কিন্তু বেশ কিছু গ্রামে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কোয়ারান্টাইন সেন্টারের ব্যবস্থা করা হলেও স্থানীয়দের বাধার সম্মুখীন হতে হয় গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানকে। পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চলের কোয়ারান্টাইন সেন্টারে পরিযায়ী শ্রমিকেরা থাকছে না বলেও শোনা যাচ্ছে । ফলে কোয়ারান্টাইন সেন্টারে না থেকেই বাড়ি ফিরছে অনেকেই। এমনই চিত্র দেখতে পাওয়া গেলো জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের সাপ্টিবাড়ী ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের হাসার বাড়ি এলাকায়। ইতিমধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ভীষণ ভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে হাসারবাড়ি সহ আশেপাশের গ্রাম গুলিতেও। তাই মানুষের গুজব রুখতে সচেতনতার প্রচারে পোস্টারিং করতে দেখা গেলো ময়নাগুড়ি ব্লকের সাপ্টিবাড়ী ২ নং অঞ্চলের প্রয়াস সাথী ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনকে।

সংগঠনের সহ সম্পাদক গৌতম বর্মন বলেন, 'এই মুহূর্তে অনেকেই ভিন রাজ‍্য  থেকে বাড়িতে ফিরছেন। এবং যার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের বাসা বেধেছে। তাই আমরা এদিন মানুষকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করি এবং যাতে গুজবে কান না দেন সে'বিষয়ে সাধারণ মানুষকে বোঝাই। এবং যারা বাইরে থেকে আসছেন তাদেরকে ১৪ দিনের নিজের বাড়িতেই হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার কথা জানানো হয়।' পাশাপাশি অনেক পরিবার আছে যাদের কাজ না করলে ভাত নেই আর সেই পরিবারগুলি যদি কোনো কারণ বশত হোম কোয়ারান্টাইনে চলে যায় তাহলে তাদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হবে। এই পরিস্থিতিতে আমরা এরকম পরিবারদের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করছি। এবং তাদের আশ্বাস দেওয়া হয় পরবর্তীতে কোনও সাহায্য প্রয়োজন হলে আমরা আরও বেশি করে সাহায্য করার চেষ্টা করবো।