মালবাজার:- বর্তমানে কোরোনা বিষয়ক মহামারীর কারনে যখন মানুষ দিশাহীন। মানুষের মনে যখন এক অজানা ভীতির সঞ্চার হচ্ছে, মানুষ যখন আর্থিক সংকট ও কোরোনার প্রকোপে সাড়াশি চাপ অনুভব করছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষ অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে কিভাবে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে তার রূপরেখা তৈরি এবং অবসর সময়কে কিভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে তার দিক নির্দেশের জন্য ওয়েষ্ট বেঙ্গল ভলান্টারি হেলথ্ এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে মাল ব্লকের বড়দিঘি বাজার ভোটডাঙ্গা ময়দানে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে একটি পারস্পরিক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় পিস বিল্ডার সান্ত্বনা দেবনাথ ও সুমতি ওরাও এর উদ্যোগে।
আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ASHA দিদি সন্ধ্যা রায় ও পঞ্চায়েত সদস্য সিন্টু রায়।
সংস্থার পক্ষে জুলফিকার উল হক (PB/TOT) ও সান্ত্বনা দেবনাথ (PB) তাদের আলোচনায় তুলে আনেন -
১। আমরা কেন লকডাউন মেনে চলবো?
২। হাত ধোয়ার বিষয়টি কেন জরুরি?
৩। শত অভিযোগ, অভাব অনটন থাকলেও কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই কেন অপরিহার্য?
আলোচনায় উঠে আসে- এখন ধর্ম বর্ন ভুলে মানুষ মানুষের পাশে থাকতে হবে লবন ভাত খেয়ে হলেও "আমার গ্রাম আমি রক্ষা করবো" এই বিশ্বাসে ব্রতী হয়ে সকলকেই সকলের পাশে থাকার অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।
আলোচনা থেকে জানাযায়- ঘরবন্দী থাকার জেরে পারিবারিক সহিংসতার পরিমান অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেদিকে লক্ষ্য রেখে পারিবারিক অশান্তি সীমায়িত করার জন্য সম্পর্ক, ভালবাসা, স্বীকৃতি, সহযোগিতা, সহমর্মিতা, একতা ইত্যাদি বিষয় গুলি পরিবারে কতটুকু আছে তা দেখে নেওয়ার এবং নিজেদের মধ্যে মতবিরোধকে শেষ করার ঈশ্বর একটি সুযোগ দিয়েছেন এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সম্পর্কগুলোকে সুমধুর করার চেষ্টা করা।
মানসিক, পারিবারিক ও সামাজিক শান্তি প্রতিটি মানুষের জন্য জরুরি তাই শান্তি বিষয়ে ভাবার সময় এসেছে।
আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় এই মূহুর্তেও যারা অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত তাদের সেগুলি থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হবে।
ছবি ও তথ্য :- রাহুল আলম, ময়নাগুড়ি
Social Plugin