বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্যের জন্য আবেদন , সাংসদের আশ্বাস


সারা বিশ্ব করোনার আতঙ্কে স্তব্ধ, ভারতে লক ডাউন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৩ মে পর্যন্ত l ২০ শে এপ্রিল পরে কিছু এলাকায় শিথিল হতে পারে লক ডাউন l কিন্তু এই লক ডাউনে অসহায় হয়ে পড়েছে বেসরকারী বিদ্যালয়গুলি। একদিকে সরকারি নির্দেশিকা যাতে- পশ্চিমবঙ্গে সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ইতিমধ্যে সকল বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ফি বৃদ্ধি না করার এবং সহানুভূতি সহকারে অভিভাবক কর্তৃক ফি প্রদান না করার বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য আবেদন করেছেন। সরকারের এই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে বেসরকারী বিদ্যালয় গুলো। 


শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়েছে। এইমত অবস্থায় গতকাল অর্থাৎ 18.04.2020 শনিবার Unaided Public School Association পক্ষ থেকে বর্তমান আর্থিক দুরবস্থার জন্য কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম  ও জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানের কাছে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে। উক্ত প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ ওয়াশিকুর রহমান, এজাজ আহমেদ, হামিদ আলি , মতিউর রহমান ও আনিকুল মিঞা।



সংগঠন সূত্রে জানাগেছে এদিন  ছোট খাটো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষক -শিক্ষিকা দের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এমত অবস্থায় সরকারি কিছু অনুদানের ব্যপারে আলোচনা করা হয়।

দিনের পর দিন লক ডাউন বৃদ্ধির ফলে উপার্জনের রাস্তা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই দাবী বিবেচনা করার ও আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন মাননীয় M.P মোহাঃ খলিলুর রহমান।

সংগঠনের পক্ষ থেকে এজাজ আহমেদ জানান-করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছেন কিন্তু ছোট খাটো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন টিউশন এর শিক্ষক-শিক্ষিকাগন কোন রকম সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছে না এমনকি কোথায় সাহায্যের জন্য হাত বাড়াতেও পাড়ছেন না। এমতাবস্থায় আমরা সরকারের শরণাপন্ন হয়েছি। আমরা আশারাখি সরকার আমাদের বিষয়টি মানবিকভাবে উপলব্ধি করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।

please like and share our facebook page  - Click