![]() |
প্রতিকী ছবি |
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে রবিবার রাত ৯টায় ৯ মিনিটে ঘরের আলো নিভিয়ে প্রদীপ, মোমবাতি, মোবাইলের আলো জ্বালানোর আহ্বানে সাড়া দেয় দেশের মানুষ। কিন্তু সাথে সাথে দেখা যায় আতসবাজি ফাটতে ও ফানুস ওড়াতে। অনেকে দীপাবলির সাথেও তুলনা করতে পিছপা হয়নি। এদিকে লকডাউনের মধ্যে বাজি পোড়ানোয় কিছুটা হলেও আয়ের মুখ দেখেছেন বাজি বিক্রেতারা। আর তাতেই তাঁরা খুশি।
কিন্তু, প্রশ্ন লক ডাউন অথচ বাজি পেলো কোথায়? বাজি বিক্রেতা অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা বাবলা বাবুর কথায়, "লোকেরা আগাম প্ল্যান কষেছিল। এলাকার চেনা আতসবাজি ব্যবসায়ীদের বলে ঘরে বসেই বাজির অর্ডার দেওয়া হয়।" বাবলা বাবু জানিয়েছেন, "মাত্র ৯-১০ মিনিটে গোটা রাজ্যে ৬ কোটি টাকার বাজি পুড়েছে।" স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের গলায় খুশির রেশ।
তবে, এ নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ পরিবেশ প্রেমীরা। তাঁদের কথায়, যেকোনো কিছু পোড়ালেই দূষণ হয়। তবে এটা মাত্র ১০ মিনিট ছিল।
WHO-এর নিয়ম অনুযায়ী বাতাসে প্রলম্বিত শ্বাসযোগ্য সূক্ষ্ম ধূলিকণা ২৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিৎ নয়। সেটাই রবিবার রাতে ৬ গুণ বেড়ে গিয়েছিল।
আমেরিকান কনস্যুলেট জেনারেলের রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার রাত ১০টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ছিল ১৫৬, যা চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর। এতেই পরিবেশপ্রেমীর একাংশ বেশ ক্ষুব্ধ।
Social Plugin