লকডাউনে অসহায় গৃহশিক্ষক- সরকারের প্রতি কাতর আবেদন

file picture 

বর্তমান CORONA VIRUS-এর আক্রমন ও তার ফলে সৃষ্টি হওয়া উদ্ভূত ভয়ংকর পরিস্থিতি এক ভয়াবহ অচেনা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে টেনে এনেছে গৃহশিক্ষকদের। এপ্রিলের ১৪ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে তা হয়েছে ৩০। তবে নির্ধারিত ৩০ এপ্রিলের পর লকডাউন উঠবে না আরও বৃদ্ধি পাবে তা পরিস্থিতি সাপেক্ষ্য। ফলে করুন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে গৃহশিক্ষকদের মধ্যে। 

পশ্চিমবঙ্গ গৃহশিক্ষক কল‍্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস‍্য সুজিৎ রায় জানিয়েছেন- "গৃহশিক্ষকতা এই পেশাটি যে কতোটা অনিশ্চিত কতোটা পরনির্ভরশীল তা আগে আমরা কখনো দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। আমাদের অবস্থাটাই সব চেয়ে খারাপ। একমাত্র এই একটি পেশাই আছে যেখানে সম্পূর্ণ উপার্জনের খুব কম করে হলেও 25/30% অনাদায়ি থাকে। তারপর প্রায় প্রত্যেকেই কমবেশি কিছু ছাত্রছাত্রীর প্রতি সামাজিক কর্তব্যের জন্য বিনা পারিশ্রমিকেই অথবা অত্যন্ত কম পারিশ্রমিকে আমাদের পড়াতে হয়। এমন কোন জীবিকার নাম কেউ বলতে পারবে যারা আর্থিক দিক থেকে নিজেরাই যথেষ্ট স্বনির্ভর না হয়েও সামাজিক দায়িত্ব পালন করে? গৃহশিক্ষকতা যতোটা সম্মানজনক ততোটাই কম আর্থিক লাভজনক পেশা। ফলে Social Status রক্ষা করে বেঁচে থাকাটাই কষ্টকর।" 

এমন পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন গৃহশিক্ষকদের জন্য ভাতার দাবী উঠেছে তেমনি অপরদিকে গৃহশিক্ষকদের দাবী- Lock-down-এর সমস্ত নিয়ম রক্ষা করে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রাইভেট টিউশনের অনুমতি দিক সরকার। 

পশ্চিমবঙ্গ গৃহশিক্ষক কল্যান সমিতির বক্তব্য - যেহেতু বিদ্যালয় বন্ধ, তাতে ছাত্রছাত্রীদের একদিকে যেমন উপকার হবে তেমনি গৃহশিক্ষকরাও বেঁচে থাকবে। 

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- "যাদের উপার্জন ১০/১৫ হাজারের নিচে তাদের অবস্থা দুর্বিষহ। কোচিং সেন্টারের ঘর ভাড়া দিতেই ৫/৬ হাজার টাকা চলে যায়। এক পয়সা উপার্জন না থাকলেও ঘরভাড়া বাবদ নির্দিষ্ট অর্থ আমাদের দিতেই হবে।তারপর বৃদ্ধ বাবা মা ও সংসার দেখতে হয়। আমাদের অনেকেরই এমন কোনো সঞ্চিত অর্থ থাকেনা যা দিয়ে দুই তিন মাস চালানো সম্ভব। এর পরে ছাত্র-ছাত্রী হারানোর ভয়তো আছেই। সরকার বা সমাজের কোনো অংশ থেকে আমরা কোনরকম সাহায্যও পাইনা। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে কিছু দুস্থ প্রাইভেট টিউটরদের সাহায‍্যের চেষ্টা করছি কিন্তু আমাদের সামর্থ্য আর কতোটুটু। তাই সরকারের কাছে কাতর আবেদন গৃহশিক্ষকদের অবস্থার কথা বিবেচনা করুন।" 

নববর্ষের শুভেচ্ছাপত্র FREE DOWNLOAD