করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে ২১ দিনের লক ডাউনের মধ্যেও দিন দিন বেড়েই চলছে সংক্রমণ। মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে, নাকি ১৪ এপ্রিলই ওই অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শনিবারই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় বৈঠক করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

২১ দিনের লক ডাউনের জেরে ধুঁকছে দেশের অর্থনীতি। যদিও, এই লক ডাউনের বিশেষ দরকার ছিল। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে সারা দেশ গৃহবন্দি তারপরেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ফলে এই পরিস্থিতিতে লকডাউন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া কতটা ঠিক হবে সে বিষয়েই রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের পরামর্শ চান নরেন্দ্র মোদি।

কিন্তু এভাবে দীর্ঘদিন লকডাউন জারি রাখলে দেশ চলবে কী করে, এই ভাবনাটিও মাথায় রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। ইতিমধ্যেই এই লকডাউনের কারণে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখ দেখেছে দেশ, বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, সমাজের দিন- দরিদ্র মানুষ কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। সাথে স্কুল, কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়ুয়ারাও। কি হবে তাঁদের ভবিষ্যৎ? এনিয়ে বেশ চিন্তিত শিক্ষার্থীরা। 

তবে এর মধ্যেই জানা গেছে যে আপাতত দেশের স্কুল এবং কলেজগুলি আগামী সপ্তাহে খোলার কোনও সম্ভাবনা নেই। মঙ্গলবার এক বৈঠক করার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা সুপারিশ করেন সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও চার সপ্তাহ বন্ধ রাখা উচিত। পাশাপাশি এই সময় যেকোনও ধরণের ধর্মীয় সমাবেশ এবং সভা-সমিতিও নিষিদ্ধ করার পরামর্শ দেন মন্ত্রীরা। এমনকি শপিং মল গুলোও আরও চার সপ্তাহ বন্ধ রাখা উচিত বলে মনে করা হচ্ছে