ক্রিকেটের ভগবান শচীন তেন্ডুলকর। একজন ভারতীয় সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও সাবেক ভারতীয় জাতীয় দলের অধিনায়ক । ক্রিকেটের ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসাবে তাকে ব্যাপকভাবে সমাদৃত করা হয় । তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী । জন্ম- ২৪শে এপ্রিল ১৯৭৩ । টেন্ডুলকার এগারো বছর বয়সে ক্রিকেট গ্রহণ করেন। যাকে মানুষ মাস্টার ব্লাস্টার, লিটল মাস্টার নামে চেনে। 

১৫ই নভেম্বর ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়। ১৯৮৯-এর ১৮ই ডিসেম্বর এক দিনের খেলায় অভিষেক করেন। টি২০ একদিনের খেলায় ২০০৬-এর ১লা ডিসেম্বর অভিষেক হয়। জার্সি নম্বর ১০। ভারত, এশিয়া একাদশ, ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়া, মুম্বাই, ইয়র্কশিয়র, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়েও তাঁকে মাঠে দেখা গেছে। তিনি প্রথম আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় হয়ে ১০০ আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করেছিলেন। সে বছর পরে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হতাশাব্যঞ্জক ১৮ মাস পরে ওয়ানডে থেকে অবসর ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এবং ১লা নভেম্বর, ২০১৩, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিজের মাঠে টেস্ট ক্রিকেট থেকে স্মরণীয় ২০০ তম টেস্টের পরে টেন্ডুলকার অবসর নিয়েছিলেন। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ডবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। টেস্টে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ১৫,৯২১ রান, গড় ৫৩.৭৮। তার মধ্যে রয়েছে ৫১টি সেঞ্চুরি ও ৬৮টি হাফ সেঞ্চুরি। ওয়ান ডে ক্রিকেটেও তিনিই সেরা তা বলে দেয় এই হিসেবে। যেখানে তিনি ১৮,৪২৬ রান করেছেন, গড় ৪৪.৮৩। করেছেন ৪৯টি সেঞ্চুরি ও ৯৬টি হাফ সেঞ্চুরি।

 ২০০২ সালে, ক্যারিয়ারের অর্ধেকেরমধ্যেই উইজডেন ক্রিকেটারদের আলমান্যাক তাকে সর্বকালের সেরা সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান, ডন ব্র্যাডম্যানের পরে এবং সর্বকালের দ্বিতীয় বৃহত্তম ওয়ানডে ব্যাটসম্যান হিসেবে ভিভ রিচার্ডসের পিছনে স্থান দিয়েছেন। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জেতে ভারত, সেই দলের খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। 

১৯৯৪ সালে তাঁর অসামান্য ক্রীড়া কৃতিত্বের জন্য টেন্ডুলকার অর্জুন পুরষ্কার , ১৯৯৭ সালে রাজীব গান্ধী খেলা রত্ন পুরষ্কার, ভারতের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মান এবং ১৯৯৯সালে পদ্মশ্রী এবং ২০০৮ সালে পদ্মবিভূষণ পুরস্কার পেয়েছিলেন, ভারতের চতুর্থ এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরষ্কার। ১লা নভেম্বর ২০১৩-তে তার চূড়ান্ত ম্যাচের কয়েক ঘন্টা পরে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তাকে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরষ্কার ভারতরত্ন প্রদানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে । তিনি এখন পর্যন্ত সর্বকনিষ্ঠ প্রাপ্তি এবং পুরষ্কার প্রাপ্ত প্রথম ক্রীড়াবিদ। আইসিসি অ্যাওয়ার্ডে তিনি ২০১০ সালের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে স্যার গারফিল্ড সোবারস ট্রফি জিতেছিলেন । ২০১২ সালে, টেন্ডুলকার মনোনয়ন পায় রাজ্যসভায় , উচ্চকক্ষ ভারতীয় সংসদ । তিনি প্রথম ক্রীড়াবিদ এবং প্রথম ব্যাক্তি বিমান ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়াই ভারতীয় বিমানবাহিনী কর্তৃক গ্রুপ ক্যাপ্টেনের সম্মানসূচক পদে ভূষিত হন। ২০১২ সালে, তাকে অস্ট্রেলিয়ার অর্ডার অফ অনারারি সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছিল ।

আজ ক্রিকেট ভগবানের জন্মদিনে দেখে নেওয়া যাক তাঁর ইনিংস- 
বিসিসিআই শচিন তেন্ডুলকরের জন্মদিনে তাঁর ইনিংস দিয়েই শুভেচ্ছো জানাল। সেই ভিডিওর ক্যাপশনে বিসিসিআই লেখে, ‘‘মাস্টার ব্লাস্টার ৪৭-এ পা দিলেন, আর সেই মুহূর্তে আমরা ২০০৮-এ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে করা তাঁর অসাধারণ ইনিংস তুলে দিলাম যা তিনি উৎসর্গ করেছিলেন ২৬/১১ সন্ত্রাসবাদী আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থদের।'' - দেখে নিন সেই ইনিংস- 


 বর্তমান ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রীও সচিনকে টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘শুভ জন্মদিন বসম্যান। তুমি যা তৈরি করে গেল তা সারাজীবন থেকে যাবে। গড ব্লেস চ্যাম্প।''
যুবরাজ সিং -ও টুইট করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন। তিনি লেখেন ব্যাটে এবং আমাদের হৃদয়ে একটি চিরন্তন মিষ্টি স্পট সহ কিংবদন্তীর কাছে, আপনার জীবন আপনার রেকর্ডগুলির মতো আলোকিত হতে পারে এবং আপনি আপনার মহৎ কর্মের মাধ্যমে কয়েক বিলিয়নকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। প্রচুর ভালবাসা এবং শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন।
সচিন তেণ্ডুলকরের ৪৭ তম জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলি। টুইটারে তিনি সচিনের সঙ্গে তাঁর একটি ছবি পোস্ট করেছেন, সঙ্গে লিখেছেন, তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা, যাঁর ক্রিকেট নামক খেলাটির প্রতি প্যাশন অসংখ্য মানুষকে প্রেরণা দিয়েছে। বছরটা আপনার দুর্দান্ত কাটুক পাজি।
মহম্মদ কাইফও টুইট করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বীরু লিখেছেন, ইনি যখন ব্যাট করতেন তখন সত্যিই সময় থেমে যেত। তবে তাঁর কেরিয়ার সব থেকে বেশি ধরা পড়েছে এই দুটি ছবিতে। বিশেষ করে এই কঠিন সময়ে মনে রাখা উচিত, সব দুঃখের পরেই জয় আসে।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন অজিত আগারকরও।


শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করলেন হরভজন সিং-ও।
শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট গৌতম গম্ভীরের-

শচীন রমেশ তেন্ডুলকরের জন্মদিনে বিসিসিআই ও ভারতীয় খেলোয়াড়রা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালো। করোনা পরিস্থিতির জেরে সারা দেশে চলছে লক ডাউন। কঠিন এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের সেবায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। লক ডাউনে জনগণের কাছে সচেতন বার্তা পৌঁছে দিতে টিম মাস্ক ফোর্স -এও অংশ গ্রহণ করতে দেখা গেছে তাঁকে। দেখে নেয়া যাক সেই ভিডিও-