আগামী তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল ছাড় দেওয়ার দাবীতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বাম ও কংগ্রেস পরিষদীয় দলের


লকডাউনে গরীব মধ্যবিত্ত মানুষ খুবই বিপদে। কাজ নেই। পকেটে পয়সা নেই। মানুষের দূর্দশা কিছুটা লাঘব করার জন্য বিদ্যুৎ বিলে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত ছাড় দেওয়ার দাবী জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন বাম ও কংগ্রেস পরিষদীয় দল।

কোভিড ১৯ সংক্রমনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশ, রাজ্যবাসী সবাই লকডাউন প্রক্রিয়ার মধ্যে কার্যত গৃহবন্দী। শত কষ্ট এবং অসুবিধা সত্ত্বেও মানুষ যথার্থই সদর্থক ভূমিকা পালন করে চলেছেন। গরিব মানুষ, কৃষক, শ্রমজীবী, সাধারণ মানুষ সহ প্রায় সবাই যথেষ্ট বিপদে। কার্যত গৃহবন্দী। কাজ নেই। আয়, উপার্জনের পথও বন্ধ। অথচ, লকডাউন এর সাফল্যের যে অন্যতম শর্ত, গৃহবন্দি মানুষের কাছে খাদ্য এবং আনুষঙ্গিক জরুরি বিষয়গুলি পৌছে দেওয়া, সে বিষয়ে সরকারের দূর্বলতা থেকেই যাচ্ছে বলে চিঠিতে জানান বাম ও কংগ্রেস পরিষদীয় দল। 

তাদের বক্তব্য- একমাসের বেশি হয়ে গেল কাজ বন্ধ। অজস্র গরিব নিম্নবিত্ত মানুষ তাদের হাতে পয়সা নেই। ওষুধ সহ জিনিষের দাম উর্ধ্বমুখী। বাজার খােলা, কিন্তু জরুরী এবং প্রয়ােজনীয় জিনিষ কেনার মত সামর্থ্য মানুষের নেই। ক্ষেতমজুর, দিনমজুর, অসংগঠিত শ্রমিক, অস্থায়ী-ক্যাজুয়াল-চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারী, সাধারণ প্রাইভেট টিউটর, ছােট দোকানদার, ক্ষুদ্র ব্যবস্ময়ী ইত্যাদি, এরা ভয়ঙ্কর সঙ্কটে। এরাই বিশাল সংখ্যাগরিষ্ট অংশ। সংসার বাঁচানাের দায় আছে, কিন্তু আয় নেই। এক দূর্বিষহ অবস্থায় মানুষ।

নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে যুক্ত হতে ক্লিক করুন পাশের লিঙ্কে
নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হতে ক্লিক করুন পাশের লিঙ্কে
নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের whatsapp গ্রুপে যুক্ত হতে ক্লিক করুন পাশের লিঙ্কে

চিঠিতে স্পশটভাবে জানানো হয়- "এই পরিপ্রেক্ষিতে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুত খরচের বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি। সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যে বিদ্যুতের খরচ ভয়ঙ্করভাবেই বেড়েছে, তা নিশ্চয়ই আপনি জানেন। বিদ্যুতের দাম দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এরাজ্যে। বহুবার বলা সত্ত্বেও এর কোনাে সুরাহা হয়নি। লকডাউনে গৃহবন্দী মানুষের কাজ নেই, হাতে পয়সা নেই। সংসার চালানােই দায়। তার উপর বিদ্যুতের বিলের প্রবল ধাক্কা। আর্থিক পরিমাণও যথেষ্ট বেশি। বিদ্যুৎ পর্ষদ অথবা সি ই এস সি উভয়েই বাড়তি বিলের অর্থ আদায় করে চলেছে। এই উভয় এলাকাতেই একটা বড় অংশের মানুষ মূলত গরীব, মধ্যবিত্ত। খুবই সংকটে। এই দুই এলাকাতেই বিদ্যুৎ বিলে যথাসম্ভব ছাড় দেওয়া জরুরী।"

বাম ও কংগ্রেস পরিষদীয় দলের পক্ষথেকে এই বিষয়ে প্রস্তাব-  "মাসিক ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ যারা ব্যবহার করেন তাদের অন্তত আগামী তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হােক। প্রসঙ্গত, দিল্লী, তামিলনাড়ুর মতাে বেশ কিছু রাজ্যে সারা বছরের জন্য এই ছাড় ইতিমধ্যেই চালু রয়েছে। সঙ্গতভাবেই, লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে, রাজ্যে বিদ্যুৎ বিলে এই ন্যূনতম ছাড় দেওয়ার জন্য দ্রুত নির্দেশ জারি করুন - এই দাবি করছি।

বিস্তারিত শুনুন ভিডিওতে-