প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণার পরে পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিধিনিয়মের তালিকা প্রকাশিত হল।
লকডাউন চলাকালীন কি কি করা যাবে, আর কি করা যাবে না, তাই রয়েছে এই তালিকায়। যাঁরা আইন অমান্য করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির বন্দোবস্ত রয়েছে। লকডাউনে বাড়ির বাইরে প্রয়োজনীয় কারণ ছাড়া বেরোলেই দুবছরের কারাদণ্ড নিশ্চিত। আইন ভঙ্গকারী মহিলা হোন বা পুরুষ এই শাস্তির কোনও রদবদল হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, লকডাউনের সময় কেউ কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ ভাঙতে চাইলে, তাঁর বিরুদ্ধে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইনের ৫১ ও ৬০ ধারা প্রয়োগ করা হবে। এ ছাড়া, আইপিসির ১৮৮ ধারাতেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হবে। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী-
1. কোনও সরকারি কর্মীকে এমন পরিস্থিতিতে তাঁর কাজে বাধা দিলে শাস্তি হতে পারে।
2.এমনকী রাজ্য বা কেন্দ্রের তরফে আসা নির্দেশ পালিত না হলেও হতে পারে শাস্তি। যার সাজা এক বছরের জেল বা জরিমানা হতে পারে।
3.নিয়ম না মানায় কারও মৃত্যু হলে, তার সাজা আরও ভয়ানক হতে পারে। 4.স্থানীয় জনপ্রতিনিধি যদি কোনও নির্দেশ দিয়ে থাকেন, তা হলে, তা না-মানলেও শাস্তি হতে পারে।
5. এ ছাড়া, এই সময় কোনও কর্পোরেট হাউস বা সংস্থা যদি নিয়ম না মানে, তারও কড়া শাস্তি হতে পারে।
6. এই সময় কোনও সরকারি কর্মী যদি অন্যায় কাজ করেন, তা হলেও তিনিও রেহাই পাবেন না। যে দপ্তরের কর্মী অন্যায় করবেন, তাঁর দপ্তর যদি পদক্ষেপ না করে, তা হলে সেই দপ্তরের কর্তাকে শাস্তি পেতে হবে।
7. শুধু রাস্তায় বেরোনো নয়। কোনও ব্যক্তি মিথ্যে তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে, তার ২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
8. ত্রাণের কাজে লাগা পণ্য বা টাকা যদি নয়ছয় করা হয় বা কেউ সে টাকা নিজের কুক্ষিগত করে রাখলে, তা হলেও শাস্তি অনিবার্য।
নির্দেশিকা অমান্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে অভিযুক্তের ২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে বলে কেন্দ্রের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
(This story has not been edited by Sangbad Ekalavya staff and is auto-generated from a syndicated feed.)
Social Plugin