![]() |
Img Src: SangbadPratidin |
দীর্ঘদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সঙ্গে অঘোষিত বিবাদ চলছিল সিন্ধিয়ার পরিবারের l সব জল্পনা উস্কে দিয়ে এবার কী বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন এই পরিবারের কেউ? এই জল্পনা কয়েক বারের সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে নিয়ে l সম্পূর্ণ ভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন মধ্যপ্রদেশের এই দাপুটে নেতা।
দীর্ঘদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সঙ্গে অঘোষিত বিবাদ চলছিল সিন্ধিয়ার। গতকাল সেই বিবাদ প্রকাশ্যে চলে আসে। রাতারাতি সিন্ধিয়া-ঘনিষ্ঠ অন্তত ২০ জন বিধায়ক নিখোঁজ হয়ে যান। তারপর থেকেই জল্পনা চলছিল কংগ্রেস ছাড়তে চলেছেন তিনি। বিধায়কদের পাশাপাশি জ্যোতিরাদিত্যর সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি কাল সারাদিন। রাতের দিকে দিল্লির বাসভবনে দেখা যায় তাঁকে। রাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনা করেন তিনি। আজ সকালে ফের যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে।
তারপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর বাড়িতেও যান তিনি। বিজেপির দুই শীর্ষ নেতার সঙ্গে দেখা করার পরই নিজের ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা। ইস্তফা দেওয়ার পর কংগ্রেস নেতা বলেন, ১৮ বছর পর নতুন করে শুরু করার সময় এসেছে। পরে অমিত শাহর হাত ধরে বিজেপি দপ্তরে যান তিনি।
সিন্ধিয়ার সঙ্গে আরও অন্তত ১৭ জন বিধায়ক কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা থেকেও ইস্তফা দিচ্ছেন তাঁরা। এই ১৭ জন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের বিধায়কসংখ্যা কমে হল ১০০। অন্যান্য দল এবং নির্দলদের সমর্থন থাকলেও কমলনাথের সরকার বাঁচা একপ্রকার অসম্ভব। আপাতত সব মিলিয়ে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেসের শক্তি ১০৫। ২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১১৬। ১৭ জন বিধায়কের ইস্তফাপত্র গৃহীত হলে তা কমে দাঁড়াবে ১০৬-এ। এই মুহূর্তে বিজেপির হাতে রয়েছেন ১০৭ জন বিধায়ক। সুতরাং, খুব সহজেই মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়ে ফেলতে পারবে বিজেপি।
Social Plugin