২২শে মার্চ সারাদেশ জুড়ে জনতার কার্ফু ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী সকাল ৭টা থেকে রাত্রী ৯টা পর্যন্ত ।এখন বিশ্বের একমাত্র ত্রাস হিসাবে করোনা ভাইরাসের নাম যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তা যেকোনও ভয়কেই উপেক্ষা করে শীর্ষে বসতে আর দ্বিধাবোধ করেনি। করোনা ভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে ভয় দূর করতে, সচেতন করতে প্রশংসিত উদ্যোগ নিলেন জেলার বিশিষ্ট শিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্ত সহ বেশ কয়েকজন প্রাথমিক শিক্ষক।
বেঙ্গল এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে একদিনে সারা রাজ্যে একশত কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। বেডস এর মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক বিশ্বজিৎ দত্ত, সদর মহকুমা পর্যবেক্ষক শিক্ষক কিশোর কুমার দাসের নেতৃত্বে এদিন বহরমপুর চুঁয়াপুর থেকে ভ্রাম্যমান স্বাস্থ্য সচেতনতা যাত্রা শুরু হয় সকাল ৮টার সময়, শহরতলী ও শহরাঞ্চল ভাকুড়ী, গোরাবাজার, হরিদাসমাটি, খাগড়া, সৈদাবাদ, কাশীমবাজার, মধুপুর,ইন্দ্রপস্থ সহ বহরমপুর শহরের প্রধান প্রধান যাওয়া নিয়ে শতাধিক যাওয়া পরিক্রমা করেন।
মাইকে ঘনঘন সচেতনতা, কোথাও হাত ধোয়ার কৌশল শেখানো তো কোথাও স্যানিটাইজার ও মাক্স কিভাবে বাড়িতেই বানানো যায় তার প্রশিক্ষণ দিলেন।
এই দীর্ঘ কর্মসূচীতে ছিলেন হরিহরপাড়া চক্রের প্রধান শিক্ষক অসীম অধিকারী, সারগাছি চক্রের শান্তনু বিশ্বাস, লালগোলা চক্রের প্রধান শিক্ষক সরোজ হালদার, নবগ্রাম দক্ষিণ চক্রের প্রধান শিক্ষক রথীন্দ্র নাথ সরকার,ভগবানগোলা চক্রের প্রধান শিক্ষক গান্ধী পাল, বহরমপুর সদর পূর্ব চক্রের সহ শিক্ষক শুভাশিস মণ্ডল সহ জেলার বিশিষ্ট শিক্ষকগণ।
বিশ্বজিৎ দত্ত জানালেন সরকার যতই মানুষকে বিব্রত হতে বারণ করছে মানুষ ততই ভয়ভীত হচ্ছেন যথেষ্ট জ্ঞানের অভাবে। সাধারণ মানুষ পলিপ্রোপালিন নির্মিত মাস্ক নিজেদের সুরক্ষায় বহুলভাবে কেনায় তার অভাব চিকিৎসাক্ষত্রে সারা বিশ্বজুড়ে যথেষ্ট পরিমাণে পড়েছে।এর মধ্যে অসাধু ব্যবসায়ীরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং এন ৯৯, এন -৯৫ এই দু’ধরনের মাস্কের দাম যথেচ্ছ পরিমাণে বাড়িয়ে মুনাফা লাভ করছে।এককথায় এটা বলাই যায় এই রোগ প্রতিবছরে আক্রান্ত হৃদরোগ,স্ট্রোক,শ্বাসকষ্টজনিত,অপুষ্টিজনিত,জলবাহিত রোগগুলির চেয়ে কম ভয়াবহ।শুধু গুজবে কান না দিয়ে মানুষ এবং যত্রতত্র কফ-থুথু না ফেলে যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে পরিবেশকে ব্যবহার করা যায়,সামান্য সতর্কতারূপে দূরত্ব মেপে কথা বলা যায়,বাইরে থেকে এসে অ্যান্টিমাইক্রবিয়াল সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে কিছু স্পর্শ করা যায় তবেই সাবধানতা অবলম্বন করে এই করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি অবশ্যই সম্ভব।
শিক্ষক কিশোর কুমার দাস আবেদন জানান করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিজের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা যা করা উচিৎ . ধূমপান ও অ্যালকোহল বাদ, প্রতিদিন স্নান সম্ভব হলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান কিংবা বডিওয়াস হিসেবে ডেটল, লাইফবয় ব্যবহার ,ঠাণ্ডা-জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন যেমন : আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিঙ্কস, জুস।ভিটামিন সি যুক্ত খাবার ,ফল ,অরেঞ্জ জুস, লেবু,. ঘনঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে নিন, ভালভাবে সেদ্ধ করা খাবার খান। অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখুন।আদা চা, তুলশী চা, মধু ইত্যাদি পান করুন। ব্যায়াম করুন।করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। এটা সবাইকে আক্রমণ করতে পারলেও সবার মৃত্যু ঘটাতে পারবে না।আমাদের শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে পারে। তাই আক্রান্ত হওয়ার আগেই সতর্ক হতে হবে । জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, ঘরে থাকুন।
মুর্শিদাবাদ জেলার বেডস এই ভ্রাম্যমান স্বাস্থ্য সচেতনতা কয়েক হাজার মানুষের ভয় যেমন দূর করলো তেমনই নিজেদের কে আরো সচেতন নাগরিক হিসেবে তুলে ধরার অগ্রিম আহ্বান জানালো ।
Social Plugin