বৃহস্পতিবার রাত আটটায় করোনা পরিস্থিতিতে জাতির উদ্দ্যেশে ভাষন দেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই পরিস্থিতি তিনি ২২শে মার্চ রবিবার সারা দেশ জুড়ে 'জনতা কার্ফু'-র ডাক দেন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ''আগামী রবিবার ২২ মার্চ সকাল ৭ থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সকল দেশবাসীকে জনতা কার্ফু পালনের অনুরোধ করছি। ওইদিন কোনও নাগরিক ঘরের বাইরে বেরোবেন না। রাস্তায় যাবেন না। পাড়াতেও কারও সঙ্গে মিশবেন না। নিজের ঘরেই থাকুন। জরুরি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্তদের তো বাইরে বেরোতে হবে। তবে সাধারণ নাগরিকরা দেশহিতে আত্মসংযমের কর্তব্য পালন করুন।''
জনতা কার্ফুতে কতখানি লাভ হবে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বিরোধীরাও অভিযোগ করেছে, নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ অন্তঃসারশূন্য।
কিন্তু, নরেন্দ্র মোদীর 'জনতা কার্ফু'-কে সমর্থন করে প্রশংসা করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র ভারতের প্রতিনিধি হেঙ্ক বেকেডাম বলেন,''প্রধানমন্ত্রীর জনতা কার্ফুর আহ্বানকে স্বাগত জানাচ্ছি। সঠিকভাবে কৌশল রূপায়িত হলে ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দেওয়া যাবে।''
এদিকে রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে ৭ লক্ষ ৮৫ হাজার মানুষকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে চাল দেওয়া হবে বলে শুক্রবার নবান্নে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনার জেরে যাতে রাজ্যের মানুষকে অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাতে না হয় তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঘ) প্রথম থেকে ৮ ম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়গুলিও সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করবে যাতে উপরের স্কেল অনুযায়ী ভীড় না করে উপরের মানদন্ড অনুযায়ী চাল এবং আলু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে বিতরণ করা যেতে পারে।
এদিকে রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে ৭ লক্ষ ৮৫ হাজার মানুষকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে চাল দেওয়া হবে বলে শুক্রবার নবান্নে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনার জেরে যাতে রাজ্যের মানুষকে অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাতে না হয় তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার থেকে বিদ্যালয়গুলিতে প্রতিটি 2 কেজি চাল ও আলু বিতরণ করা হবে কিছু নিয়ম মেনে-
ক) সোমবার প্রথমার্ধে প্রাথমিক / উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা অবধি যথাক্রমে প্রথম ও পন্চম শ্রেণির অভিভাবককে স্কুলগুলি চাল ও আলু বিতরন করবে। এটি একবারে অভিভাবকদের জমায়েত এড়াতে উপযুক্ত সংখ্যক বিতরণ পয়েন্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
খ) সোমবার বিকেল ৪ টা পর্যন্ত যথাক্রমে ২ ও ৬ শ্রেণির অভিভাবকদের জন্য একই ব্যবস্থা করা হবে।
গ) ২৪ শে মার্চ যথাক্রমে প্রথমার্ধ ও দ্বিতীয়ার্ধে যথাক্রমে তৃতীয় ও সপ্তম শ্রেনী এবং চতুর্থ ও অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের জন্য একই ব্যবস্থা করা হবে।
এর ফলে রাজ্যে ২১,২২,২৩,২৪ মার্চ খোলা থাকছে স্কুল। ২১ এবং ২২ তারিখ সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষাবন্ধু থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত সকল কর্মীকে উপস্থিত থেকে এই রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে। যার দরুন রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ২২ মার্চের জনতা কার্ফু কার্যত বাতিলের পথে।
Social Plugin