pic source: indiamed

২০১৯ – এর ৩১শে ডিসেম্বর চীনের নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে চীনের সব প্রদেশ ও ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এই ভাইরাস সংক্রমণের অনেকগুলি ঘটনা সামনে এসেছে। ৪ মার্চ পর্যন্ত চীনে সংক্রমণের সংখ্যা ৮০ হাজার ২৭০। মৃত্যু হয়েছে ২৯৮১ জনের। যদিও চীনে সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা হ্রাসমান, তথাপি, হুবেই প্রদেশ ও উহান শহরে এখনও সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। চীনের বাইরে হংকং, ম্যাকাও এবং তাইওয়ান সহ ৭৮টি দেশে ১২ হাজার ৮৫৭টি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। মৃতের সংখ্যা ২২০। ৩০টি দেশে স্থানীয়ভাবেই রোগ ছড়িয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এই সংক্রমণকে উদ্বেগজনক আখ্যা দিয়ে এর ঝুঁকির মাত্রা সর্বোচ্চ ঘোষণা করেছে। যদিও ‘হু’ কোভিড ১৯-কে মহামারী বলে ঘোষণা করেনি কিন্তু সব দেশকেই সতর্ক থাকতে বলেছে। তবে ‘হু’ – এর পরামর্শ দেওয়ার আগেই ১৭ জানুয়ারি থেকে ভারত প্রয়োজনীয়তা সতর্কতা অবলম্বন করেছে এবং সেইমতো কাজ করছে।

এদিকে গুজরাটের গান্ধীনগরে গতকাল ইন্ডিয়া ফার্মা অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইস ২২ সম্মেলনের উদ্বোধন করে কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রী শ্রী ভি সদানন্দ গৌড়া বলেছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মোকাবিলায় দেশে ওষুধের অভাব নেই।

শ্রী গৌড়া আশ্বাস দিয়ে বলেন, কঠোর নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকার দেশে এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে এই সংক্রমণ এই ওষুধ শিল্পের সামনে বড় সমস্যা তৈরি করেছে। কিন্তু সেই সঙ্গে, এই ক্ষেত্রের জন্য একটি সুযোগ এনে দিয়েছে। তিনি বলেছেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকার, হাসপাতালগুলি, চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ওষুধ শিল্প যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় দৃঢ়।

শ্রী গৌড়া আরও বলেন, আমাদের ওষুধ তৈরির মূল উপকরণ আমদানি নির্ভরতা কমানোর প্রয়োজন আছে। সেই জন্য ভারতকে এই উপকরণ তৈরিতে স্বনির্ভর হতে হবে। তিনি বলেন, ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে এই পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে মূল উপকরণগুলির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে পদক্ষেপ নিতে হবে।