SER-23,বাঁকুড়া,৯মার্চ: আজ রঙের উৎসব তথা দোল, হোলি বা বসন্ত উৎসব । বসন্ত আসে সাল-পলাশের জঙ্গলে , শিউলীর সুবাসে । প্রকৃতির এই নব রূপ কাছে টানে বাঙালীর মনকে । তাই আজ বসন্তের এক টুকরো রঙ মেখে নিতে ব্যাস্ত আট থেকে আশি সকলেই । আজ সকাল থেকেই এর এক প্রতিফলন দেখা গেল বাঁকুড়ার জুড়ে । আজ বাঁকুড়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিণ্ণ ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির উদ্যোগে পালিত হল দোল ও হোলি উৎসব । এদিন সকালে শহরের মাচানতলা থেকে রানীগঞ্জ মোড় পর্যন্ত একটি শোভাযাত্রা হয় ।এর মাধ্যমে করনা ভাইরাসের আতঙ্ককে দূরে ঠেলে দিএ মহানন্দে হই-হুল্লোরে মেতে উঠেছিল আট থেকে আশি । পাশাপাশি আনন্দে সামিল ছিলেন বাঁকুড়া পুরসভার পুরোপ্রধান এবং উপ -পুরোপ্রধান । এছাড়াও একই রকম উদ্দম ও উচ্ছাস চোখে পড়ার মতো ছিল গ্রামগঞ্জেও ।
চাঁচর বা হোলিকা দহণের পরের দিনটি বাঙালীর কাছে দোল উৎসব নামে পরিচিত । স্বভাবতই এই চাঁচর পড়ানোর মাধ্যমেই দোল উৎসবের সূচনা হলো গঙ্গাজলঘাঁটির তলঝিটকা কেশিয়াড়া এবং মেট্যালার মতো গ্রাম গুলিতে ।প্রতি বছরের মতো এবছরেও গতকাল রাত্রিতে তলঝিটকা রাধাকৃষ্ণ মন্দির থেকে রাধাকৃষ্ণের যুগল মূর্তি চতুর্দলায় করে কাঁধে নিয়ে এক সভাযাত্রা করা হয় । এই পূণ্য সভাযাত্রা তলঝিটকা থেকে শুরু করার পর কেশিয়াড়া গ্রাম ঘুরে শেষ হয় কেশিয়াড়া শিব মন্দিরে । এই সভাযাত্রায় শরণার্থীর ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো । পৌরাণিক ধারণা অনুসারে অশুভ শক্তির বিনাশের জন্যে সভাযাত্রা শেষে চাঁচর বা হোলিকা দহন (একটি বাঁশের দন্ডে ঝাড়াই করা শুষ্ক সরষের আঁটি বাঁধা হয় দণ্ডের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত । এবং তাতে অগ্নি সংযোগ ঘটানো হয় । ) করা হয় শিব মন্দির সংলগ্ন মাঠে । এবং সূচনা করা হয় দোল উৎসবের । এই হোলিকা দহন দেখতে পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষদের ভীড় যেন এক মিলন ক্ষেত্রে পরিণত হয় ।
Social Plugin