বকেয়া না মেটাতে পাড়লে বন্ধ হয়ে যেতে পারে Vodafone টেলিকম সংস্থা


বকেয়া মেটানোর মতো আর্থিক অবস্থা নেই Vodafone টেলিকম সংস্থার কাছে। বাঁচার পথ ক্রমেই ছোট হয়ে যাচ্ছে।  এদিকে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষথেকে বাড়ছে চাপ। সব মিলিয়ে কোণঠাসা ভোডাফোন আইডিয়া, খুব শীঘ্রই কোনও বড় সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।


লোকসানের বোঝা আগেই ছিল। তার উপরে চেপে বসেছে কেন্দ্রকে বকেয়া মেটানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। সুপ্রিম কোর্ট টেলিকম সংস্থাগুলিকে মাসখানেক সময় দিলেও কেন্দ্রের নির্দেশে শুক্রবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যেই বকেয়া ১ লক্ষ ৪৭ হাজার কোটি টাকা মিটিয়ে দিতে বলা হয়েছিল Vodafone টেলিকম সংস্থাকে। কিন্তু তা পারেনি ভোডাফোন। আর তাতেই রীতিমতো বিপাকে পড়েছে ভোডাফোন আইডিয়া। আজই সংস্থার কর্তারা বসছেন বিকল্প পথের সন্ধানে।


বিপুল পরিমাণ লোকসানের বোঝায় জর্জরিত ভোডাফোন আইডিয়া। এই পরিস্থিতিতে বকেয়া মেটাতে হবে ৪৪ হাজার কোটি টাকা। এমন যখন বেহাল অবস্থা সংস্থার তখন শেয়ার বাজারেও পড়তির দিকে ভোডাফোন আইডিয়ার দর। ফলে কঠিন পরিস্থিতি ক্রমশই কঠিনতর হচ্ছে। এখন যা অবস্থা তাতে খুব শিগগির ঝাঁপ বন্ধ হতে পারে এই টেলিকম সংস্থার।


তবে বকেয়া রাখার তালিকায় ভোডাফোন এক নয়। ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া, টাটা টেলিসার্ভিসেস-সহ দেশের বিভিন্ন টেলিকম সংস্থাগুলিকে অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ (এজিআর) হিসাবে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার কোটি টাকা বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর মধ্যে আবার লাইসেন্স ফি বাবদ ৯২ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা এবং স্পেকট্রাম ফি বাবদ ৫৫ হাজার ৫৪ কোটি টাকা। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, আগামী ১৭ মার্চ, পরর্বতী শুনানির আগেই টেলিকম দফতরের কাছে সেই বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে বিভিন্ন টেলিকম সংস্থাকে। এই নির্দেশ না মানলে সংস্থাগুলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর-সহ শীর্ষ কর্তাদের পরবর্তী শুনানিতে আদালতে হাজিরা দিতে হবে।


গত বছরের ডিসেম্বর মাসেই ভোডাফোন-আইডিয়ার চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লা জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া তাঁর সংস্থার পক্ষে ভারতে ব্যবসা চালানো সম্ভব নয়। এর পরে গত কয়েক মাসে সেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। লোকসানের পরিমাণ আরও বেড়েছে। ফলে খুব শীঘ্রই সংস্থার পক্ষে ব্যবসা বন্ধের মতো বড় ঘোষণাও হতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

**সংবাদটি সংবাদ একলব্য সম্পাদনা করেনি, নিউজ ডেস্ক থেকে সরাসরি সংগৃহীত।