রাতারাতি ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে গেল নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের মেরিট লিস্ট! আর এই নিয়ে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত উদ্বেগ৷

গত ১৬ তারিখ  স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত তিনিটি কেস কলকাতা উচ্চআদালতে ওঠে। সূত্রের খবর, কমিশনের ভূমিকায় বেজায় অখুশি বিচারপতি। আজ আবার শুনানি রয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত  মামলার। 

 
কিন্তু গতকাল সন্ধ্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিজস্ব ওয়েবসাইটে উচ্চ প্রাথমিক ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি যথারীতি দেখা গেলেও উধাও নবম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির তালিকার অংশ। 

চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, নবম দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত কমিশনের ওয়েবসাইটে মেধাতালিকার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ ও শূন্যপদের তালিকা দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তা রাতারাতি তুলে নেওয়া হয়েছে৷ 

কী কারনে ওয়েবসাইট www.westbengalssc.com/sscorg/wbssc/home/index.html থেকে তালিকা তুলে নেওয়া হল? তা অবশ্য কিছু জানা যায়নি৷ আর এই নিয়ে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে তুমুল উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে৷











নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক, মেধাতালিকায় থাকা এক চাকরিপ্রার্থী জানিয়েছেন, ‘‘কমিশনে সাইট থেকে নবম দশমের মেরিট লিস্ট আজ বিকালে তুলে নিয়েছে৷ প্রার্থীদের আশঙ্কা, কমিশন নাকি প্যানাল বাতিল করতে পারে৷ আর সেই কারণে মেরিট লিশট তুলে নেওয়া হয়েছে৷ অথচ কিছুদিন আগেই প্রত্যেক ডিআই অফিসে নন জয়েনিং শূন্যপদ চেয়ে পাঠিয়েছিল বিকাশ ভবন৷ জার সংখ্যা প্রায় ৩০০৷ প্যানেল এখনও প্রতি বিষয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ওয়েটিং হিসাবে বহু প্রার্থী রয়েছেন৷ উপযুক্ত প্রার্থীরা প্রায় প্রতিদিনই বিকাশ ভবন বা আচার্য সদনে যাচ্ছেন৷ কিন্তু সপ্তম কাউসিলিং ১ মাস হয়ে গেলেও অষ্টম কাউন্সিলিং করার ব্যাপারে কমিশনের কোনও সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না৷’’









যদিও, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকারের আমলে নবম-দশমে সাত দফায় কাউন্সেলিং হয়েছে৷ সুযোগ পেয়েছেন কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী৷ নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে চলতে থাকা প্রতিবাদ-তাণ্ডবের মধ্যেও কাউন্সেলিংয়ের দিন ধার্য করেছিল কমিশন৷ কিন্তু, হঠাৎ মেধাতালিকা তুলে নেওয়ার পিছনে কি যুক্তি থাকতে পারে? চাকরিপ্রার্থীদের আশঙ্কা, হয় কমিশন আর নবম-দশমে নিয়োগ করবে না, অথবা ওয়েবসাইটে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ আর সেই কারণে ঘটতে পারে এই ঘটনা৷