SER-23, বাঁকুড়া,১৪জানুয়ারী:  কথিত আছে বাঙ্গালীর বার মাসে তেরো পার্বণ । তাই এই তেরো পার্বণের অংশ হিসেবে পৌষমাসের সংক্রান্তি দিনটি উৎসবের নানা রঙে রাঙিয়ে নিতে অভ্যস্ত বাঙালীরা । 

পৌষমাসের এই শেষতম দিনটি মানেই উৎসব পিপাষু বাঙালীর কাছে  'পৌষ সংক্রান্তি',  ' মকর সংক্রান্তি', 'টুসু' উৎসব এবং পিঠে পুলীর এক মেলবন্ধন । তাই রাঢ় বঙ্গের বিভিণ্ণ অঞ্চলের মতো বাঁকুড়াতেও মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে টুসু পরব । 

এখানে 'টুসু' মূলত লৌকিক দেবী রূপেই পূজিত হয় । টুসু মূর্তি হিসেবে পূজিত হয় না বললেই চলে ।অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিন থেকে  পৌষমাসের সংক্রান্তি পর্যন্ত টানা এক মাসব্যাপী এই পুজো চলে । সাধারণত  কুমারীমেয়েরাই সঙ্গবদ্ধ ভাবে এই পুজো করে থাকে । ছোট্ট মাটির পাত্র (টুসু ) তুষ বা কুৃড়ো দিয়ে সিঁদুর, কাজল ও ফুল সহযোগে অলংকৃত করা হয় টুসুদেবী কে  চলতি ভাষায় গানের আকারে পুজো সমাপনের পর চিঁড়ে, বাতাসা বা ছলা নিবেদন করা হয় দেবী টুসুর নিকট । 

এই পুজোপ্রক্রিয়াটির বিশেষ ধুম লক্ষ্যকরা যায় মকর সংক্রান্তির আগের রাত্রিতে । তারপর মকর সংক্রান্তির সকালে  টুসু দেবীকে চতুর্দলায় করে নিয়ে জাওয়া হয় নদী বা পুকুরে এবং সেখানেই নিরঞ্জন করা হয় দেবীকে । পাশাপাশি মকরদিন সকাল পূণ্য স্নানের পর থেকেই  বাঙালীর হাতে পাতে চলতে থাকে পিঠেভোজন বা পৌষপার্বণ।