চোর-পুলিশের খেলা জমেছে দিনহাটায়। ইতিমধ্যে দিনহাটার নাগরিক সমাজ  থানায় ডেপুটেশনে জানায় দিনহাটা শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রকাশ্য দিবালোকে চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে।  অথচ পুলিশ এই ঘটনার কোন কিনারা করতে পারছে না। ফলে মানুষ নিরাপত্তা অভাব বোধ করছেন। পাশাপাশি পুলিশের উপর ভরসা হারিয়ে ফেলছেন সাধারণ মানুষ।

গত একমাসে দিনহাটা শহরের বুকে দিনের আলোয় প্রায় ৫-৬টি বাড়িতে বড়সড় চুরির ঘটনা ঘটলেও এখনো অধরা চোর। স্বাভাবিক ভাবেই দিনহাটার সাধারণ মানুষেরা বিষয়টি নিয়ে যেমন চিন্তিত তেমনি পুলিশের ব্যর্থতায় ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে। এরই মাঝে গতকাল রাতে দিনহাটা থেকে অনতিদূরে অবস্থিত বালিকা বাজারের স্বপন মোদকের দোকান থেকে লক্ষাধিক টাকার জিনিসপত্র চুরি হয় বলে অভিযোগ। 

গত ২৮ ডিসেম্বর চুরির ঘটনা ঘটে দিনহাটা শহরের 6 নম্বর ওয়ার্ডে। দিনহাটা থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে দিনহাটা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লীলা মজুমদারের বাড়িতে ঘটনা ঘটেছে। প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।

গত ৩১ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে দিনহাটা শহরের রংপুর রোডের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সুজিত পালের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। ঘরের আলমারি শোকেস ভেঙ্গে নগদ ২৫ হাজার টাকা প্রচুর স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে চম্পট দেয়।


গত ১ জানুয়ারি দিনহাটা স্টেশন পাড়ায় সন্ধ্যাতেই চুরির ঘটনা ঘটে । নতুন বছরে সপরিবারে ঘুরতে যাওয়ায় ফাঁকা বাড়ি পেয়ে ঘোর সন্ধ্যায় চুরি যায় টাকা-পয়সা সহ কয়েক লাখ টাকার সম্পত্তি।দিনহাটা স্টেশন পাড়ার বাসিন্দা গণেশ সাহার বাড়িতে এই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় গতকাল স্থানীয় মানুষেরা বিধায়ক উদয়ন গুহকে কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। বিধায়ক দ্রুত ব্যবস্থা নেবারও আশ্বাস দেন।

গতকাল বালিকা বন্দরের এই দোকানের চুরির ঘটনায় সমস্ত ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। দ্রুত চোর ধরা না পড়লে বড়সর আন্দোলনের পথে নামবে বলে জানা গেছে। স্থানীয় দোকানদারের অভিযোগ- রাতে বালিকা বন্দরে পুলিশ ডিউটি থাকা সত্বেও কি করে চুরি যায়।

সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ এস আই সৌভিক মিত্র জানিয়েছেন-" সামান্য কিছু জিনিস চুরি গিয়েছে, একটি কম্পিউটার আর কয়েকটা মোবাইল চুরি গিয়েছে। আমরা কি করা যায় দেখছি।'


বিস্তারিত ভিডিওতে-