শ্যামপুরের নাওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠের বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে চলছিল বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা । কর্মসূচি অনুযায়ী প্রতিযোগিতার মাঝেই অনুষ্ঠিত হয় জ্যাভলিন থ্রো কম্পিটিশন । সবাই বেশ উপভোগ করছেন, জমে উঠেছে ময়দান। এমন সময় হঠাৎই অংশগ্রহনকারীদের ছোড়া একটি জ্যাভলিন তীব্র বেগে ধেয়ে এসে ঢুকে যায় ওই স্কুলেরই ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রের মাথায়। সোমবার বিকালে ঘটে যাওয়া আকস্মিক এই বিপত্তির ঘটনা চাওর হতে বাকি নেই ইন্টারনেটে।
আহত ছাত্র সৌরজিতের বাড়ি হাওড়ার শ্যামপুরে । জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের নাম সৌরজিৎ বেরা । বয়স ১২ বছর। তীক্ষ্ণ বর্শার আঘাতে গুরুতর আহত হয় সৌরজিৎ। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে পিজিতে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে চলে অপারেশন। সৌরজিৎ-এর মাথা থেকে বের করা হয় মস্তিষ্কে ঢুকে যাওয়া বর্শাটি। গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচারের পর অনেকটাই বিপন্মুক্ত সে বলে জানা গিয়েছে। সিসিইউ-তে সম্পূর্ণ ভেন্টিলেটরি সাপোর্টে সে রয়েছে। সফল অস্ত্রোপচারের পর সে কথা বলতেও শুরু করেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
কারও সঙ্গে কথা না বললেও নিজের মতো করে সাড়া দিয়েছে সে, তাতেই স্বস্তি ফিরেছে সৌরজিতের পরিবারে।
ছাত্রের বাবা সতীশ চন্দ্র বেরা কাঠের পালিশের কাজ করেন। ছেলের এমন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি। সতীশবাবুর দাদা হরিশ চন্দ্র বেরা বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে প্রশ্ন করেন, খেলা চলাকালীন কি ভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটে? পরিকাঠামো ব্যবস্থার বিষয়ে কেন এমন উদাসীনতা?
বিদ্যালয় সূত্রে খবর, এদিন বিকাল ৩টে নাগাদ মাঠের একধারে জ্যাভলিন ছোঁড়ার সময় আচমকা সৌরদীপ ট্রাকের মধ্যে চলে এলে জ্যাভলিনের ফলা সৌরদীপের মাথার ডান দিকে ঢুকে যায়। আচমকা এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দ্রুত ছাত্রটিকে প্রথমে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে কলকাতার এসএসকেএমে স্থানানতরিত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশ মত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি, সরাসরি নিউজ সেন্ডিকেট থেকে সংগৃহীত।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊