ফাইল ছবি 


গতকাল থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত বৈদ্যুতিক যাত্রীবাহী ট্রেনের যাত্রা আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হল।  প্রাথমিকভাবে ৪ (চার) জোড়া ট্রেন বৈদ্যুতিক ট্রাকশনে চলাচল করবে। যদিও, ভবিষ্যতে আরও অধিক বৈদ্যুতিক ট্রেন চলাচল করবে বলে এন এফ আর এর জনসম্পর্ক আধিকারিক শুভানন চন্দ এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন । 

নিম্নলিখিত ট্রেনগুলিকে এখন থেকে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের দ্বারা চালানাের পরিকল্পনা করা হয়েছে।



জানা গেছে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের অধীনে কাজ করা রেলওয়ে সুরক্ষার কমিশনার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন মানদণ্ড পরীক্ষা করার জন্য সম্প্রতি গুঞ্জরিয়া - নিউ জলপাইগুড়ি সেকশন (১৬০ কিমি) পরিদর্শন করেন। এই অংশের জন্য আনুমানিক ব্যয় ধার্য হয়েছে প্রায় ১৬৫.৬৮ কোটি টাকা। এখানে উল্লেখযােগ্য যে, ২০১৭-১৮ অর্থ বর্ষের বাজেটে উত্তর পূর্ব রেলওয়ের ব্রাঞ্চ লাইন সহ ট্রাকের এই সমগ্র অংশটি ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিককরণ করার জন্য অনুমােদন লাভ করেছিল।

উত্তর পূর্ব রেলওয়ের এই সমগ্র বৈদ্যুতিকরণের কাজের ব্যয় ধার্য করা হয়েছে ২,৫৪২.৬২ কোটি টাকা (আনুমানিক)। | দ্রুতগতিতে কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য উত্তর পূর্ব রেলওয়ের সমগ্র মেইন লাইন বিভিন্ন সেকশনে ভাগ করা হয়েছিল। সিআরই (সেন্টার ফর রেলওয়ে ইলেকট্রিফিকেশন) ও আরভিএনএল (রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড)-এর দ্বারা এই কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

নিউ জলপাইগুড়ি ইয়ার্ড সহ মুকুরিয়া থেকে রানিনগর জলপাইগুড়ি সেকশন (৫৯৭ ট্রাক কিমি) পর্যন্ত সিআরই-এর দ্বারা কাজ হচ্ছে। নিউ বঙাইগাও - যােগীঘোপা ও গুয়াহাটি - নারেঙ্গি অংশের কাজও সিওআরই করছে। রানিনগর জলপাইগুড়ি থেকে সরুপেটা (২৫৯ ট্রাক কিমি) পর্যন্ত অংশের কাজ করছে আরভিএনএল। 

বৈদ্যুতিক ট্রেন চালু হওয়ার ফলে ভারতের অন্যান্য অংশের সাথে উত্তর পূর্ব রেলওয়ের যােগাযােগ ব্যবস্থা উন্নত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। জনসম্পর্ক আধিকারিক জানিয়েছেন- "শক্তি উৎপাদন করতে প্রচলিত ইঞ্জিনগুলি ফসিল ইন্ধন ব্যবহার করে, যার ফলে দূষণ সৃষ্টি হয় কিন্তু বৈদ্যুতিক ট্রেনের চলাচল পরিবেশের জন্য অনুকূল।"