file pic source fb bgta

এবার শুধু আন্দোলন বা বিক্ষোভ সমাবেশ নয়,আমরন অনশনের ডাক দিয়েছে গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের সংগঠন বিজিটিএ। ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমে বিজিটিএর শীর্ষ নেতৃত্বরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে,৮ ই জানুয়ারির মধ্যে তাদের ন্যায্য অধিকার টিজিটি স্কেল দিতে হবে।নইলে পরের দিন অর্থাৎ ৯ ই জানুয়ারি থেকে তারা চরম আন্দোলনের পথ বেছে নেবেন।

আজ বিজিটিএর যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ শ্রী স্বপন মন্ডল জানিয়েছেন- "ঘোষিত পে কমিশনের শিক্ষা দপ্তরের রোপা বেরোনোর পর বিভিন্ন স্কুলে অপশন ফর্ম ফিলাপ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এই রোপায় গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের জন্য টিজিটি ও সমস্ত টিচারদের জন্য "ক্যাস" এর কোন উল্লেখ নেই। তাই আমরা টিচাররা কিছুটা হলেও আশাহত!" 

তবে এক্ষেত্রে বিজিটিএ যে চুপচাপ বসে নেই সে কথা জানান তিনি। তিনি বলেন- "আগামী ৯ ই জানুয়ারী থেকে বিকাশ ভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্না ও অনশন কর্মসুচী ঘোষণা করেছে বিজিটিএ। সেইমত আমরা পারমিশন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে ও যাচ্ছি। আগামী সোমবার বিধান নগর কমিশনারেট এর পদাধিকারীদের সাথে আমাদের মিটিং ও আছে৷ ওনারা আমাদের কে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।" 

তবে এই পরিস্থিতিতে কিছু সমস্যার কথা জানান তিনি। স্বপন বাবু বলেন- "৯ তারিখ থেকে আন্দোলন চালাতে গেলে প্রাথমিক ভাবে যা দরকার তা হল পারমিশন ও জমায়েতের আগাম পূর্বাভাস। ... ৮ ই জানুয়ারী তে একটি রাজনৈতিক বনধ ডাকা হয়েছে।    রাজ্যে এখন বন্ধ হলে  বনধের আগের দিন ও পরের দিন কাজে যোগ দেওয়া কম্পালসরি হয়ে গেছে। তাই সাধারণ টিচাদের ক্ষেত্রে এই ফতোয়া উপেক্ষা করা মুশকিল! আর তা হলে, ৯ বাদ দিয়ে ১০ তারিখ থেকে আন্দোলন শুরু করতে হবে! কিন্তু সেখানে ও নির্ভর করতে হবে প্রসাশনের উপর। তারিখ পরিবর্তন করলে ১০ থেকে যে পারমিশন পাবোই তার কোন গ্যারেন্টি নেই। সব ই নির্ভর করছে পুলিশ প্রসাশনের উপর।" 

তাহলে ঘোষিত আন্দোলন কি বাতিল হয়ে যাবে? এই বিষয়ে স্বপন বাবু জানান- "১০ এর জন্য বিফল হলে ১০ থেকে ১৩ র মধ্যে অবশ্য ই চেষ্টা করব। বাকীটা উপরওয়ালার হাত। যাই হোক আমরা আগামী সোমবার সমস্ত সম্ভাবনা মাথায় রেখেই চেষ্টা চালাবো। আর আমি বিশ্বাস করি আমার বিজিটিয়ান তথা আন্দোলন মুখী টিচাররা যে কোন পরিস্থিতির জন্য তৈরী!" 

তবে স্বপন বাবুর বিবৃতিতে স্পষ্ট জানা গেছে বিজিটিএ তার দাবী থেকে এক পা সরে আসবে না। ৮ জানুয়ারি পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা স্পষ্ট করে দেবে।