আজ হাইকোর্টে আপার প্রাইমারি নিয়োগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি ছিলো । এই মামলার উপরেই ঝুলে রয়েছে কয়েক হাজার চাকুরীপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ।  তবে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটা দিনে গতকাল হঠাৎ করেই সরিয়ে দেওয়া হয় এস এস সির চ্যেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকারকে ।

উল্লেখ্য, আপার প্রাইমারীতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট গোটা রাজ্য জুড়ে টেট পরীক্ষা নেয় এসএসসি। এরপর উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ইন্টার্ভিউ নেওয়া হয়। অভিযোগ উঠছে, ইন্টারভিউতে প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের না ডেকে অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের ডেকেছে এসএসসি। এর পরেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন করে আদালতের দারস্ত হন বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষিত চাকুরীপ্রার্থী। 
এর আগে গত ২৬ তারিখের আপারের শুনানিতে  ২ ঘন্টা ১৫ মিনিট হেয়ারিং চলার পর কমিশন ও পিটিশন পার্টির বাকবিতণ্ডার পর বিচারপতি কমিশনকে ডিসপুটেড, নন ট্রেন্ড ও below স্কোরের কেউ থাকলে, তাদের বাদ দিয়ে ক্যান্ডিডেটদের সমস্ত ডিটেইলস কোর্টকে জমা দিতে বলে। 

গত ১০ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে  শুনানী ছিল আপার প্ৰাইমারী কেসের । দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা তাকিয়ে আছে এই কেসের দিকে। কারণ সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার পর কোর্টের নির্দেশ মত ফাইনাল মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা হচ্ছে না। আপার প্রাইমারী নিয়ে তাকিয়ে আছে রাজ্যের হাজার হাজার বেকার যুবক যুবতী। কিন্তু  উচ্চ আদালত পুনরায় তারিখ দেয় আজ। আগামী বৃহস্পতিবার ১৬/১/২০২০ অর্থাৎ আজ পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়। 

আজ আবার শুনানির তারিখ ধার্য করা হয় আগামী ২১ জানুয়ারি।  

প্রসঙ্গত গতকাল এস এস সির চ্যেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই সিদ্ধান্ত কেন? 

জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন শিক্ষা দপ্তর এবং রাজ্য সরকার এস এস সি চেয়ারম্যানের সৌমিত্র সরকারের কাজে খুশি ছিলেন না। তাঁর সময়কালে  প্রায় সব নিয়োগের ক্ষেত্রে একের পর এক মামলায় বিদ্ধ হতে হয়েছে সরকারকে। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির নিয়োগ নিয়ে আইনি জট অব্যাহত। আজ সেই মামলার  গুরুত্বপূর্ণ শুনানী রয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে  আপার প্ৰাইমারী নিয়ে তার কাজে কিছুটা রুষ্ট হয়েছিল সরকার । তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁর জায়গায় আপাতত কমিশনের এক আধিকারিককে অস্থায়ী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন চেয়ারম্যান যোগ না-দেওয়া পর্যন্ত তিনিই কাজ চালিয়ে যাবেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।