![]() |
pic source: EiSamay |
নিজের দায়িত্ব স্কুলে বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা গড়ে তুলতে, সেইসঙ্গে বিদ্যালয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া শুরু করতে গিয়ে রীতিমতো খুন হতে হত তাঁকে। মার খেয়েও ছিলেন অনমনীয়। অবশেষে পুরস্কার মিলল। পদ্মশ্রীতে ভূষিত হলেন মেটিয়াব্রুজের সেই শিক্ষক কাজী মাসুম আখতার।
২০১৫ সালে মেটিয়াবুরুজ এলাকার একটি স্কুলে জাতীয় সংগীত গাওয়ার 'অপরাধে' প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনা ঘটে। যাদবপুরে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাজী মাসুম আখতারের অভিযোগ ছিল, তাঁকে মারধর করার কারণ, স্কুল পড়ুয়ারা যাতে বাল্য বিবাহের শিকার না হয় ও তারা যাতে জাতীয় সঙ্গীত গায়, সেই জন্য তিনি পদক্ষেপ করেছিলেন। ওই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ধরে বার বার আলিপুর আদালতে আবেদন করেন ওই শিক্ষক। পুলিশের কাছ থেকে আশানুরুপ সহযোগিতা পাননি বলেও অভিযোগ ছিল।
ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেও কলম ধরেছেন তিনি। তিন তালাকের বিরুদ্ধে এক লক্ষ মানুষের স্বাক্ষর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর দফতরে দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
এদিন অবশ্য যাদবপুরের স্কুলে ছাত্রদের সঙ্গে আজ প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান দারুণভাবে কাটালেন সাহিত্য-শিক্ষায় পদ্মশ্রী প্রাপক কাজী মাসুম আখতার।
বিদ্যালয়ে সবার প্রিয় মাসুম আখতারের কথায়,'এই সম্মান আমাকে দিল আমার দেশ। যতই হুমকি, হামলা হোক দায়িত্ব পালন থেকে এক মুহূর্ত সরব না।"
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊