ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) এর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৮ সালে গণতন্ত্র সূচকে বিশ্বে ৪১তম স্থানে ছিল ভারত। ২০১৯ এ তা নেমে ৫১ নম্বর স্থানে পৌঁছেছে। যা প্রমান করে ভারতের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি কতটা তলানিতে ঠেকে গেছে। রিপোর্টে স্পষ্টত বলা হয়েছে ভারত ‘ত্রুটিযুক্ত গণতন্ত্র’। ২০০৬ থেকেই এই সূচক মাপা শুরু হয় এবারই ভারতের র‍্যাংক সবচেয়ে খারাপ। নির্বাচনী প্রক্রিয়া, সরকার পরিচালনা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নাগরিক স্বাধীনতা এই পাঁচটি ক্যাটেগরির নিরিখে এই সূচক মাপা হয়। ০ থেকে ১০ এর মধ্যে স্কোর বেঁধে দেওয়া হয়। 

এছাড়াও, পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিযুক্ত গণতন্ত্র, হাইব্রিড গণতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্র এই চারটি বিভাগ রাখা হয়। ভারতকে রাখা হয়েছে ত্রুটিযুক্ত গণতন্ত্রের কোটায়। ২০১৪ সাল থেকেই কমতে শুরু করে। ভারতের সূচক ২০১৬ তে সামান্য বাড়লেও এখন তা ধীরে ধীরে নীচেই নামছে। 

রিপোর্টে বলা হয়েছে,, নতুন নাগরিকত্ব আইনে ক্ষুব্ধ দেশের মুসলিম সমাজের বড় অংশ। উদ্বেগের বিষয় হল বিশ্বের এক তৃতীয়াংশের বেশি দেশই একনায়কতন্ত্রের ক্যাটাগরিতে পড়েছে। চিলি, ফ্রান্স, পর্তুগাল গণতান্ত্রিক দেশগুলির প্রথম সারিতে রয়েছে।