নানান জায়গায় খ্যাত হবার পরে মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারেও মিলল তার দেখা। টেস্ট পেপার প্রকাশিত হতে সেই প্রশ্নপত্রপেয়েই হতবাক সবাই।২০২০ সালের WBTA এর টেস্ট পেপারের ৩৭১ নাম্বার পৃষ্ঠায় ইংরেজির UNSEEN বিভাগে দেখা মিলল রানু মণ্ডলের জীবনীর!

যা দেখে শিক্ষার্থীদের মধ্যে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে। কিছুদিন আগেই বিখ্যাত হওয়া রানু মণ্ডল কিভাবে মাধ্যমিকের মতো পরীক্ষার বিষয় হয়ে উঠতে পারে তা নিয়ে অনেকের মনে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে!তবে অনেকে মনে করছেন যেহেতু সাম্প্রতিক কালে রানু মণ্ডল প্রচুর পরিমানে বিখ্যাত! তাই তাকে নিয়ে যদি মাধ্যমিকের মূল প্রশ্নপত্রে কোনও প্রশ্ন আসে তাহলে ছাত্র-ছাত্রীরা সহজেই সেই উত্তর দিতে পারবে।

তবে মাধ্যমিকে কীভাবে পাওয়া যাবে কমন প্রশ্ন? কীভাবে দিতে হবে পরীক্ষা? কোন কৌশল অবলম্বন করলে লাভ হবে?  কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের টেস্ট পেপার প্রকাশের এক অনুষ্ঠানে কিন্তু সেই রহস্যের পর্দাফাঁস করেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ 

কীভাবে মাধ্যমিকের প্রশ্ন কমন পাওয়া যাবে? ফাঁস করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি অভিভাবকদের বলতে চাই, এটা ছাড়া দ্বিতীয় কিছু পড়াবেন না৷ লাভ হবে না৷ এখানে ১৪০ বা ১২০টা বাছা স্কুলের প্রশ্ন নিয়ে করা হয়েছে৷ ১৪০টি স্কুলের প্রশ্নপত্রের মধ্যে দেখুন কোন প্রশ্নগুলি কমন আসছে৷ দেখবেন, অনেকটাই কমন চলে এসেছে৷ অনেক কমন৷ ফলে ভয় পাওয়ার মতো কিন্তু কিছু নেই৷’’

পর্ষদের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা ছাত্র সমাজের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে৷ মেধার প্রকাশ ও উৎকর্ষতা বাড়ানোর দিকে সবথেকে বেশি নজর দিচ্ছে রাজ্য সরকার৷

টেস্ট পেপারের গুরুত্ব বোঝাতে শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, ‘‘আমি যখন পড়তাম, তখন এই টেস্ট পেপারের জন্য হাহাকার দেখা দিত৷ আমরা পেতাম না৷ যদিও আমি যে স্কুলে পড়তাম সেখানে স্কুলের টেস্ট পেপারের প্রয়োজন হত না৷ আমাদের প্রশ্নপত্র অন্যরা টেস্ট পেপার ভাবত৷ এটা নিয়ে একটা অসুবিধা ছিল৷ বিশেষ করে গ্রামের স্কুলে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিনামূল্যে সব দেওয়া হবে৷ আমরা আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকলেও বই-পত্র, টেস্ট পেপার বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি৷’’