রামশাই গ্রামে ৪০০ কেজি দই দিয়ে পুজিত হল মাশান দেবতা

SER-10,ময়নাগুড়ি,২২শে ডিসেম্বর ২০১৯: গতকাল শনিবার জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েতের সংলগ্ন কাউয়াগাব এলাকায় পুজিত হলো  মাশান দেবতা। রামশাই এর নীলাবতী সমাজ কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে গ্রামে অশুভ শক্তি বা খারাপ কিছুর থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যেই এই পুজো করে থাকেন স্থানীয় মানুষেরা এবং নীলাবতী সমাজ কল্যাণ সংস্থার সদস্যরা।

  মূলত রাজবংশী কামতাপুরী জনজাতির গ্রামীণ দেবতা নামে পরিচিত মাশান দেবতা । যা প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া দেবদেবীর মধ্যে অন্যতম। এই গ্রামের এই পুজো এ'বছর দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পন করল। এ'দিন ঢাক ঢোল সানাই বাজিয়ে রীতিমতো মাশান দেবতার পুজো করলেন এলাকার বাসিন্দারা।রাজবংশী সংস্কৃতি মেনে মাশান দেবতার পরনে ছিল হলুদ গামছা এবং হারিয়ে যাওয়া দেবতাকে নতুন করে জনসমক্ষে তুলে ধরতেই ও রাজবংশী সংস্কৃতি মেনে মাশান দেবতার পরনে দেওয়া হয়েছিল হলুদ গামছা বলে জানান পুজো কমিটির সদস্যরা।

  আগে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রত্যন্ত  এলাকা ও গ্রামে গ্রামে ব্যক্তিগত ভাবে এই পুজো করার রীতি ছিল ।  কিন্তু  কালের স্রোতে তা অনেকটাই বিলুপ্ত। সর্বমোট ১৮ রকম মাশান দেবতা হয়ে থাকে, বিভিন্ন এলাকায়  বিভিন্ন রকম মাশান দেবতার পুজো করা হয়ে থাকে। তবে এই কাউয়াগাব এলাকায় 'গদা' মাশানের পুজো করা হয়ে থাকে। এই 'গদা' মাশান দেবতার পুজোর রীতি দই, চিড়া, কলা, হাঁসের ডিম সহ  ঢাকে ঢোলে পূজা করা। 

 পুজোর শেষে  প্রসাদ রূপে খাওয়ানো হয় দই , চিড়া, আটিয়া কলা, গুড়, লঙ্কা ও লবন। নীলাবতী সমাজ কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে জানা যায়, এই পুজো নিয়ে তারা  বিভিন্ন রকম কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মূলত তাদের সংস্কৃতিকে সকলের সামনে তুলে ধরতেই এই প্রচেষ্টা তাদের। খাদ্যের জন্য রয়েছে ৩৭ মন সর্বমোট ধানের চিড়া। এবং ৪০০ কেজি দই। এছাড়াও থাকছে আগামী ২দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।  রবিবার সকাল 10টা থেকে শুরু বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা শিবির।